প্রতিদিন, শুরু করে দিন নিজের একটু যত্ন নেওয়া। বেশি কিছু করতে বলছি না।
ছোট ছোট কয়েকটি টিপস দিচ্ছি। প্রতিদিন এই টিপস মেনে চলুন।
দেখবেন ত্বকের গ্লো বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই।
প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিন
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে খেয়াল রাখুন কিছু ছোট ছোট বিষয়ের।
ক্লিনজিং
স্কিনকে গ্লোয়িং ও হেলদি রাখার প্রথম শর্তই হল স্কিনকে পরিষ্কার রাখা।
সারাদিন কত ধুলো ধোঁয়া, বাইরের দূষণ স্কিনে জমে যায়।
সেগুলো তো অবশ্যই স্কিন থেকে পরিষ্কার করা দরকার।
সেগুলো স্কিন থেকে ঠিকমত পরিষ্কার না হলে, স্কিন হয়ে পড়ে শুষ্ক, প্রাণহীন।
স্কিন ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকলে তবেই কিন্তু তার উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
এবং স্কিন পরিষ্কার থাকলে, তবেই স্কিন হেলদি রাখার পরবর্তী ধাপ গুলো স্কিন নিতে পারবে।
তাই প্রতিদিন বাড়ি ফিরে অবশ্যই স্কিনকে পরিষ্কার করুন।
টোনিং
ক্লিনজিং এর পরের ধাপ হনলো টোনিং।
অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, রোজ স্কিন পরিষ্কার করে, ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পরও কি টোনিং এর দরকার আছে?
হ্যাঁ অবশ্যই দরকার আছে।
আপনি যখন ক্লিনজার দিয়ে স্কিন পরিষ্কার করছেন, ক্লিঞ্জার স্কিন পরস গুলো ওপেন করে স্কিনের ভেতরে জমে থাকা ময়লা ধুলো পরিষ্কার করে।
স্কিন পোরস কিন্তু ওপেনই থাকে। এরপর টোনার সেই ওপেন পোরসগুলো বন্ধ করে।
না হলে কিন্তু ওপেন পোরসের সমস্যা হবে। এবং টোনার স্কিনের পিএইচ ব্যাল্যান্সকে ঠিক রাখে।
স্কিনকে হাইড্রেটেড রাখে। এককথায় টোনার স্কিনের ক্লিনজিং প্রসেসকে সম্পূর্ণ করে।
ময়েশ্চারাইজার
প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিনের শেষ ধাপ হলো, ময়েশ্চারাইজার।
টোনার লাগানোর পর স্কিন অনেক সময় একটু শুকনো লাগে। তাই এরপর ময়েশ্চারাইজার।
ময়েশ্চারাইজার স্কিনকে নারিশ করে। হাইড্রেটেড রাখে।
স্কিনের ময়েশ্চার হারিয়ে গেলে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং চলে আসে।
তাই প্রতিদিন অবশ্যই ময়েশ্চারাজার।
যাদের অয়েলি স্কিন, তারা অনেকেই মনে করেন তাদের ময়েশ্চারাইজার দরকার নেই।
এটা কিন্তু ভুল ধারনা। সমস্ত স্কিন টোনেই ময়েশ্চারাইজার দরকার।
স্কিন টোন অয়েলি হলে, জেল বেস ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এক্সফোলিয়েশন
প্রতিদিন শুধু ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজিং কিন্তু যথেষ্ট নয় স্কিনকে রেডিয়েন্ট করে তুলতে।
দরকার এক্সট্রা কেয়ার। সেটা হলো এক্সফলিয়েশন বা স্ক্রাবিং।
এক্সফলিয়েশন স্কিনের ওপর জমে থাকা মরা কোষ সরিয়ে স্কিনকে গ্লোয়িং করে তোলে।
তাই সপ্তাহে এক বা দুদিন স্কিনকে এক্সফলিয়েট বা স্ক্রাবিং অবশ্যই করুন।
খেয়াল করুন
মনে রাখবেন, এই যত্নগুলো নিয়মিত নিতে হবে। তাহলেই পাবেন হেলদি গ্লোয়িং স্কিন।