Search
Close this search box.

হার্ড ওয়াটার কী? এর থেকে চুল রক্ষার উপায় জানেন কি?

চুল পড়ে যাবার সম্ভাব্য কারণগুলি আমাদের নখদর্পণে থাকে যেমন রাসায়নিক উপাদান, দূষণ ইত্যাদি।

কিন্তু আমাদের চেকলিস্ট থেকে যেটা চোখ এড়িয়ে চলে যায় তা হলো হার্ড ওয়াটার।

এটা অনেকটা গা ঢাকা দেয়া শত্রুর মতো আড়াল থেকে আমাদের সর্বনাশ করে যা আমরা টেরও পাই না। 

হার্ড ওয়াটার কী?

হার্ড ওয়াটার হলো একটি জারক যার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি থাকে যা চুলের ফলিকল বিনাশ করে।

এতে উপস্থিত টক্সিক সীসা, ক্লোরিন চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয় ফলে চুল আলগা হয়ে ঝরে পড়া শুরু হয়।

হার্ড ওয়াটার থেকে চুল বাঁচানোর উপায়:

ফিটকিরি:

  • গোসল করার ১০-১৫মিনিট আগে বালতির পানিতে ফিটকিরি দিলে সেই পানির খনিজ উপাদানগুলি বালতির তলদেশে গিয়ে জমবে।
  • এবার সেই জল আস্তে আস্তে অন্য বালতিতে ঢেলে নিতে পারেন নিচের অংশ বাদ দিয়ে।
    অথবা ছেকে নিতে পারেন। তাহলে মিনারেল কমে গিয়ে পানিটা মাইল্ড হবে।

ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু:

  • সপ্তাহে অন্তত দুদিন ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন এতে চুলে খনিজ জমাট বাঁধতে সুযোগ পাবে না।
  • চুলের ঘনত্ব ও আগের চেয়ে বাড়বে। মস্তিষ্কের তালুর চামড়া ও হবে মসৃন ও প্রশমিত।
    তবে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার দিয়ে চুল আর্দ্র করে নিতে ভুলবেন না যেন।

কন্ডিশনার:

  • হার্ড ওয়াটারে চুল ধোওয়ার পরে কন্ডিশনার মাস্ট ব্যবহার করবেন রুক্ষ শুস্ক হয়ে চুল ঝরে পড়া থেকে আটকাতে চাইলে।

ভিনেগার:

  • ভিনেগার খুবই কার্যকরী উপাদান চুলকে হার্ড ওয়াটার থেকে রক্ষা করার জন্য।
  • ১ টেবিলচামচ ভিনেগার ৩ কাপ পানিতে গুলিয়ে নিন।
    মিশ্রণটা দিয়ে শ্যাম্পু করার পর চুল সম্পূর্ণ ভিজিয়ে নিন।
    মিনিট ১০ অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা পানিতে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
  • ভিনেগারের অ্যাসেটিক এসিড চুলে প্রাকৃতিক হাইড্রেশন এর কাজ করবে।

লেবু পানি:

  • ৩ কাপ পানিতে ১টা লেবু স্কুইজ করে দিয়ে সেটা চুলে লাগাতে পারেন। শ্যাম্পুর পর ট্রাই করলে ভালো ফল পাবেন।
  • লেবু চুলের পিএইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে। অতিরিক্ত তেল স্ক্যাল্প এ জমতে দেয় না।

অলিভ অয়েল:

  • গোসল এর আগে চুলে অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।
    এতে চুলের পুষ্টি ও হবে আর চুলের গোড়া মিনারেল এর কারণে ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করবে।

এগ থেরাপি:

  • ডিম এ থাকে ভিটামিন,প্রোটিন ও পটাশিয়াম এর বিপুল ভান্ডার।
  • ডিম যে চুল ও ত্বকের কত বড় বন্ধু এটা আর নতুন করে আপনাদের আশাকরি বলতে হবেনা।
  • একটা পাত্রে ডিম ভেঙে নিয়ে সাদা অংশ ও কুসুম ফেটিয়ে নিন।
  • এবার তাতে ২ টেবিলচামচ লেবুর রস যোগ করুন। ব্যস আপনার ডিমের মাস্ক রেডি।
  • এবার ওই হেয়ার মাস্ক চুলে আলতো ভাবে লাগিয়ে নিন ও ১৫ মিনিট মতো ছেড়ে চুল শুকিয়ে নিন।
  • তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • এটা চুল স্বাভাবিক ভাবে ব্লিচ করে ও চুলের উজ্জ্বলতা দ্বিগুন বৃদ্ধি করে।