চুল মানুষের সৌন্দর্যের বড় অলংকার। চুল পড়া, চুল উঠে যাওয়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই।
ছেলেমেয়ে সবাই এর শিকার। প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক।
কিন্তু এর বেশি পড়তে শুরু করলেই শুরু হয় টেনশন। বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন।
অন্তত পরপর তিন দিন অথবা অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে, তবে তা চিন্তার বিষয়।
চুল পড়া বা হেয়ারফল এর কারণ
চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা বিশেষ করে রিবন্ডিং, হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করার কারণে চুল পড়ার বা হেয়ারফল এর প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
আমারা অনেকেই ভেজা চুল আঁচড়াই। চুল যখন ভেজা অবস্থায় থাকে, তখন চুলের গোড়া নরম থাকে।
ওই অবস্থায় চুল আঁচড়ানো বা বাধা উচিত নয়। এ কারণেও হেয়ারফল হয়ে থাকে।
চুলে বেশি সময় তেল রাখা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
এছাড়াও অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা, ঠিকমতো চুল পরিষ্কার না করা, গোসলের পানিতে আয়রন থাকা, গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, আয়রনের অভাব, অতিরিক্ত খুশকি ইত্যাদি কারণে চুল ঝরে পড়ে বা হেয়ারফল হয়৷
যাদের চুল লম্বা তারা ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে না ঘুমালে আগা ফেটে ভাঙতে শুরু করে।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি প্রধান কারণ।
চুল পড়া বা হেয়ারফল বন্ধের প্রতিকার
সপ্তাহে দুই-তিনবার শ্যাম্পু করুন৷ শ্যাম্পু করার পর, ব্যবহার করুন কন্ডিশনার।
শ্যাম্পু করার এক ঘন্টা আগে চুলে তেল ব্যবহার করুন৷ চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না। সপ্তাহে দুই-তিনবার তেল ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা চুলের জন্য বেশ কার্যকর। তাই অ্যালোভেরার জেল মেখে ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
এছাড়াও পেঁয়াজের রস মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে করে খুশকির সংক্রমণ কমবে।
মেহেদি পাতা বেটে মাথায় লাগাতে পারেন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
চুল ভালো রাখার অন্যতম চাবিকাঠি হল প্রোটিন গ্রহণ। কারণ চুলের গোড়া প্রোটিন দিয়ে তৈরি।
চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল প্রোটিনের স্বল্পতা। তাই প্রোটিন আছে এমন খাবার গ্রহণ করুন।
সপ্তাহে একদিন প্রোটিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন।
চুল বাঁধার ধরন বা স্টাইলের কারণও চুল পড়ার জন্য দায়ী।
তাই চুল খুব বেশি শক্ত করে না বাঁধাই ভালো।
চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়ানো, বাধা এবং হিজাব পরিধান থেকে বিরত থাকুন৷ সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন।
চিরুনি এবং তোয়ালে পরিষ্কার রাখুন। মাসে একবার চুল ডীপ কন্ডিশনিং করুন।
নিজেকে যথাসম্ভব চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন এছাড়াও বন্ধ করতে হবে ধূমপান।