সুস্থ, সুন্দর, ঝলমলে চুল নারীর সৌন্দর্যের একটি প্রধান দিক।
আমরা মেয়েরা মুখের সাথে সাথে যদি চুলটাকে মনের মত সাজাতে না পারি, তাহলে আমাদের সাজটাই যেন বৃথা যায়।
চুল কি কম ঝামেলা সহ্য করে? বাইরের দূষণ ও ময়লা তো আছেই, তার সাথে বিভিন্ন কেমিক্যাল ও হেয়ার এক্সেসরিজের কারণে চুল নষ্ট হয়ে যায় ও অকালে মাথায় টাক পড়ে যায়।
এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ঘরোয়া হেয়ার মাস্কই একমাত্র ভরসা।
হ্যাঁ এটা ঠিক পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীরের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়। কিন্তু শুধু খাওয়ার উপর চুল শতভাগ ঠিক রাখাটা একটু কঠিন।
বরং যা আমরা সাধারণভাবে খাই, তা চুলে ব্যবহার করলে আরেকটু ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
আপনি কি চুল পড়া কমাতে চান? চুল বড় করতে চান?
তাহলে মজবুত ও লম্বা চুল বানাতে চাইলে ব্যবহার করুন এই ১০টি হেয়ার মাস্ক, যা ব্যবহারে জাদুকরী ফল পাবেন এক মাসের ভিতরেই।
হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করার নিয়ম
হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানলে যত ভালো মাস্কই ব্যবহার করুন না কেন, সেটা আপনার চুলের সর্বোচ্চ ক্ষতি করে ছাড়বে।
এই মাস্ক কখনোই ময়লা চুলে লাগানো উচিত না।
মাস্ক লাগানোর আগে অবশ্যই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন। তারপর চুল তোয়ালে দিয়ে মুছে বা বাতাসে শুকিয়ে নিবেন।
ব্লো ড্রাই করবেন না। চুল হালকা ভেজা থাকতে হেয়ার মাস্ক লাগাবেন।
তবে চুলটাকে কয়েকটা সেকশনে ভাগ করে নিলে মাস্ক লাগাতে সুবিধা হবে।
বড় আর মোটা চুলে সেকশন করা লাগলেও ছোট চুলে সেকশন করা লাগবেনা।
চুল ভাগ ভাগ করে ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখবেন।
একটা ভাগে মাস্ক লাগানো হলে ক্লিপটা খুলে দিবেন৷
ব্রাশ দিয়ে বা হাত দিয়ে যেভাবেই মাস্ক লাগান না কেন, খেয়াল রাখবেন যেন চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত সবজায়গায় সমানভাবে মাস্ক লাগানো হয়৷
ভালো ফলাফলের জন্য মাস্ক লাগানো শেষে মাঝারি দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলটা আঁচড়ে নিবেন।
তাতে মাস্ক পুরো চুলে ভালোভাবে বসে যাবে৷ যাদের চুল কোঁকড়া তারা চিরুনির বদলে হাত দিয়ে সারা মাথায় মাস্ক ছড়িয়ে দিন।
মাস্ক শুকিয়ে গেলে প্রথমে পানি দিয়ে মাস্ক ধুয়ে নিবেন। তারপর শ্যাম্পু করে শেষে কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন।
কন্ডিশনার চুলকে রিহাইড্রেট করতে সাহায্য করবে।
হেয়ার মাস্ক সপ্তাহে দুইবার করলে কার্যকরী ফলাফল পাবেন। কেউ কেউ তিনদিনও ব্যবহার করে থাকেন।
কোন কোন মাস্ক আবার মাসে দুইবারের বেশি করতে হয় না। ব্যবহারের আগে সঠিক নিয়ম জেনে নিবেন।
আর একটু কষ্ট করে ধৈর্য্য ধরবেন, কারণ সব ধরণের মাস্ক সমানভাবে কাজ করেনা। কোনটায় ফল পেতে একটু দেরি হয়।
এখন আমরা জানব মজবুত ও লম্বা চুলের জন্য উপযোগী ১০টি হেয়ার মাস্ক সম্পর্কে।
১. আলু ও পেঁয়াজের মাস্ক
যা যা লাগবে
- আলু – বড় সাইজের ১টি
- পেঁয়াজ – মাঝারি সাইজের ২টি
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে আলু ও পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। তারপরে ওগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।
ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে মিশ্রণটা ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেল আলু ও পেঁয়াজের রসের মাস্ক।
এবারে এই রস চুলের গোড়ায় মাসাজ করে ৩০ মিনিট রাখুন এবং পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
উপকারিতা
নতুন চুল গজাতে ও দ্রুত লম্বা করতে আলু ও পেঁয়াজের হেয়ার মাস্কের তুলনা নেই।
আলুতে থাকা ভিটামিনস আর জিঙ্ক চুল বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। আর পিঁয়াজের মিনারেলস আর সালফার কোলাজেন টিস্যুর কারণে নতুন চুল গজায়।
২. গাজরের মাস্ক
যা যা লাগবে
- গাজর – ২টি
যেভাবে বানাবেন
গাজর ছিলে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন এবং রসটা ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন।
শুধুমাত্র গাজরের রসের তৈরি হেয়ার মাস্ক আপনার চুলকে করে তুলবে অভাবনীয় সুন্দর।
এটা চাইলে কটন বল দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন অাবার স্প্রে বোতলে ভরেও ব্যবহার করতে পারেন।
এই মাস্ক চুলের গোড়ায় সিঁথি কেটে কেটে ৪০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
চুলের বৃদ্ধির জন্য দরকারী নিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিনস, ফাইবার, পটাশিয়াম, ফসফরাস সবটাই আছে গাজরে।
এছাড়াও গাজর মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং চুলের যেকোন প্রকার ড্যামেজ রোধ করে।
৩. কলা-মধু-তেলের মাস্ক
কলা-মধু-তেল দিয়ে হেয়ার মাস্ক বানাতে পারেন আবার শুধু কলা-তেল দিয়েও মাস্ক বানাতে পারেন।
পদ্ধতি ১
যা যা লাগবে
- পাকা কলা – ২টি
- মধু – ১ টেবিল চামচ
- অলিভ অয়েল – ১ টেবিল চামচ
- নারিকেল তেল – ১ টেবিল চামচ
যেভাবে বানাবেন
সব উপকরণ একসাথে নিয়ে ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করুন। এমনভাবে মিহি করবেন যাতে কলা বাকি সব উপাদানের সাথে একদম মিশে যায়।
এবার এই মিহি পেস্ট ভেজা চুলে ৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে এরপর ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতি ২
যা যা লাগবে
- পাকা কলা – ২টি
- বাদাম তেল – ৭/৮ ফোঁটা
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে কলার মসৃণ পেস্ট বানিয়ে তারপর তাতে বাদাম তেল মেশান।
এবার এই পেস্টটা পুরো চুলে মাখিয়ে চুল খোঁপা করুন এবং শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ১ ঘন্টা চুল ঢেকে রাখুন।
১ ঘন্টা পরে যেকোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। সবশেয়ে বেশি করে কন্ডিশনার দিয়ে চুলটা ফাইনালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ন্যাচারাল অয়েল ও ভিটামিনে ভরপুর কলার হেয়ার মাস্ক আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে, চুল পড়া বন্ধ করবে ও মজবুত করে তুলবে, চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাবে।
৪. মধু আর অলিভ অয়েলের মাস্ক
যা যা লাগবে
- মধু – আধা কাপ
- অলিভ অয়েল – ১ কাপের তিন ভাগের এক ভাগ
যেভাবে বানাবেন
মধু আর অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন।
এই মিশ্রণটা ভেজা মাথায় লাগিয়ে নিন, তারপরে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলটা ভালোভাবে আঁচড়ে নিন।
আঁচড়ানো হলে মাথা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
মধুর আরেক নাম ন্যাচারাল কন্ডিশনার। এর ভিটামিন ও মিনারেল খুশকি দূর করে ও চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে।
আর অলিভ অয়েল চুলে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে মজবুত ও উজ্জল করে।
৫. অ্যাভোকাডোর মাস্ক
অ্যাভোকাডো দিয়ে দুইভাবে হেয়ার মাস্ক বানাতে পারেন।
পদ্ধতি ১
যা যা লাগবে
- অ্যাভোকাডো (পাকা) – ১টি
- মেয়োনিজ – ১ টেবিল চামচ (চুলের দৈর্ঘ্য বেশি হলে মেয়োনিজ একটু বেশি নিতে পারেন)
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে অ্যাভোকাডোর বিচিটা ফেলে ভিতরের অংশটা চামচের উল্টা দিক দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন।
এরপর এর সাথে পরিমাণমতো মেয়োনেজ ভালো করে মিশিয়ে আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো চুলে লাগিয়ে নিন।
চুলের নিচের দিকেও পেস্টটা ভালো করে লাগাবেন। এবার উষ্ণ গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পুরো চুল ২০ মিনিট পেঁচিয়ে রাখুন।
তারপরে ঠান্ডা পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতি ২
যা যা লাগবে
- অ্যাভোকাডো (পাকা) – ছোট সাইজের ১টি
- দুধ – আধা কাপ
- অলিভ অয়েল – ১ টেবিল চামচ
- বাদাম তেল – ১ টেবিল চামচ
যেভাবে বানাবেন
সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ঘন মসৃণ একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন।
এই মিশ্রণ আঙ্গুল দিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
অ্যাভোকাডোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান।
এটা শুধু নতুন চুল গজাতেই সাহায্য করবেনা, সাথে চুলের স্বাস্থ্যও ঠিকঠাক রাখবে।
৬. ডিমের মাস্ক
এখানে ডিমের দুই ধরণের মাস্ক বানানোর পদ্ধতি দিলাম।
পদ্ধতি ১
যা যা লাগবে
- ডিম – ১টি
- দুধ – ১ কাপ
- লেবুর রস – ২ টেবিল চামচ
- অলিভ অয়েল – ২ টেবিল চামচ
যেভাবে বানাবেন
ডিম ভাল করে ফেটিয়ে বাকি সব উপকরণের সাথে মিশিয়ে নিন। এবারে মিশ্রণটি চুলে ও মাথার তালুতে লাগিয়ে নিন।
শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চাইলে শুধু ৩টি ডিম ব্লেন্ড করেও একইভাবে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
পদ্ধতি ২
যা যা লাগবে
- ডিম (সাদা অংশ শুধু) – ১টি
- নারিকেল তেল – ১ টেবিল চামচ
- মধু – ১ চা চামচ
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিয়ে তার সাথে মধু আর নারিকেল তেল দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর ভেজা চুলে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ৫ মিনিট ধরে মালিশ করুন। তারপর উষ্ণ গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা ২০ মিনিট পেঁচিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পরে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
যেকোন ধরণের চুলের জন্য ডিমের হেয়ার মাস্ক একটি আদর্শ ঘরোয়া থেরাপি।
আমাদের চুলের প্রায় ৮০ শতাংশই কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি, যার কাজ হচ্ছে চুলের শক্তি, বুনোট ও স্থিতিস্থাপকতা নির্ধারণ করা।
ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, কাজেই এর মাস্ক চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সক্ষম।
ডিমের হেয়ার মাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমে যাবে অনেকাংশে। তাছাড়া এতে আরো আছে ভিটামিন বি, যেটা চুল বড় করতে সাহায্য করে।
৭. কারি পাতা ও নারিকেল তেলের মাস্ক
যা যা লাগবে
- কারি পাতা (তাজা) – ১০/১২টি
- নারিকেল তেল – ২ টেবিল চামচ
যেভাবে বানাবেন
চুলায় নারিকেল তেলে কারি পাতাগুলো গরম করে নিন। যখন শব্দ হওয়া শুরু করবে তখন নামিয়ে নিন এবং ঠান্ডা করুন।
তেলের তাপমাত্রা হালকা গরম থাকতে হাতে নিয়ে মাথার তালুতে আর চুলে লাগান। ২০ মিনিট রেখে এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
কারি পাতায় থাকা প্রোটিন ও বেটা ক্যারোটিন চুল ঝরে পড়া আটকায়। নারিকেল তেলের ফ্যাটি অ্যাসিড চেইন চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
৮. ক্যাস্টর অয়েলের মাস্ক
ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে অনেকভাবে হেয়ার মাস্ক বানানো যায়। আমি সহজ দুটি মাস্কের পদ্ধতি এখানে দিলাম।
পদ্ধতি ১
যা যা লাগবে
- ক্যাস্টর অয়েল – ২ টেবিল চামচ
- ব্র্যান্ডি (এক ধরণের মদ) – ২ টেবিল চামচ
- ডিম – ১টি
যেভাবে বানাবেন
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে সেটা চুল ও মাথার তালুতে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট এভাবে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতি ২
যা যা লাগবে
- ক্যাস্টর অয়েল – কয়েক চামচ (চুলের দৈর্ঘ্য বুঝে)
- ডিম – ২টি
যেভাবে বানাবেন
ডিম ভেঙে এর সাথে প্রয়োজনমতো ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন।
চুলে ও তালুতে ভালো করে মাসাজ করে মাস্ক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
যদি খুশকির সমস্যায় ভোগেন তাহলে ক্যাস্টর অয়েল আর ডিমের সাথে লেবুর রস যোগ করে নিবেন।
উপকারিতা
ক্যাস্টর অয়েল একটি ভিটামিন ই ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ তেল। ড্যামেজড চুল ঠিক করতে এবং দ্রুত চুল বড় করার জন্য ক্যাস্টর অয়েল একটি অব্যর্থ উপাদান।
৯. রোজমেরির মাস্ক
যা যা লাগবে
- রোজমেরি (কুচি করা) – ৩ টেবিল চামচ
- পানি – ১ কাপ
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে পানিতে কুচি করা রোজমেরি কয়েক মিনিট সিদ্ধ করে নিন। এরপর পানিটা ছেঁকে ঠান্ডা করুন।
ঠান্ডা হওয়ার পরে পানিটা মাথার তালুতে মাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। সবশেষে কুসুম গরম পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
বহু বছর ধরেই চুলের যত্নে রোজমেরি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে।
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চুল মজবুত করে, নতুন চুল গজানো ও চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, এবং ক্ষতিকারক র্যাডিকেলের হাত থেকে চুলাে রক্ষা করে।
১০. গ্রিন টির মাস্ক
যা যা লাগবে
- গ্রিন টি – ২ টেবিল চামচ
- ডিমের কুসুম – ১টি
যেভাবে বানাবেন
গ্রিন টি আর কুসুম মিশিয়ে এমনভাবে নাড়তে থাকুন যাতে মিশ্রণটা ক্রিমি হয়।
তারপর এই মিশ্রণটা একটা ব্রাশের সাহায্যে মাথার তালু আর চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন।
২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানিতে চুল ধুয়ে এরপর শ্যাম্পু করুন।
উপকারিতা
রোজমেরির মত গ্রিন টি আরেকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান, যেটা র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে, চুলের ঝরে পড়া কমায়, এবং চুলে ও মাথার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।