Search
Close this search box.

ত্বক ও চুলের বেসিক যত্ন

ভাবুন তো, সাজগোজ করতে গিয়ে যদি দেখেন আপনার ত্বক ও চুলের বারোটা বেজে গেছে, তাহলে তো আপনার সাজগোজেরও বারোটা বেজে যায় নিশ্চয়ই!

সৌন্দর্যের দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ  বিষয় হল ত্বক ও চুল। সৌন্দর্য বলতে অনেকেই বোঝেন সুন্দর ত্বক ও চুল।

আমরা মাঝে মাঝেই বিশেষত, কোনো উৎসব অনুষ্ঠানের আগে ত্বক ও চুলের স্পেশাল কেয়ার নিই।

কিন্তু সারা বছর রেগুলার কোন কেয়ার না নিয়ে, এই স্পেশাল কেয়ার নিলে কোন লাভই হবেনা।

তাই সারাবছরই রেগুলার কেয়ার নেওয়া খুব দরকার। অনেকেই বুঝতে পারেন না, প্রতিদিন এই রেগুলার কেয়ার কীভাবে নেবেন।

তাই তাঁদের জন্যই থাকল ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে পারফেক্ট ঘরোয়া উপায়।

চুলের যত্ন

চুল হল একটি বিশেষ প্রোটিন। যা মাথার ত্বকের ভেতর থেকে সুতোর আকারে বেরিয়ে আসে।

চুলের প্রোটিনকে বলে কেরাটিন। তাই এর দরকার বিশেষ যত্ন। আর সেটার অভাব ঘটলেই চুল নষ্ট হয়ে যায়।

তেল ম্যাসাজ 

সঠিক যত্নের জন্য, সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন স্ক্যাল্পে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে।

কিন্তু খুব অয়েলি হেয়ার হলে একদিন তেল মাখলেই হবে। তেল মেখে মাথায় গরম তোয়ালে জড়িয়ে রাখলে ভালো।

এতে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে রেখে, জল নিংড়ে নিয়ে মাথায় দিন।

শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার

এরপর শ্যাম্পুর পালা। এমনিতে সপ্তাহে তিনদিন শ্যাম্পু করলেই যথেষ্ট।

কিন্তু খুব অয়েলি স্ক্যাল্প হলে একদিন ছাড়া করা যেতে পারে।

আর যদি খুব ড্রাই স্ক্যাল্প হয় তাহলে, সপ্তাহে দু’দিন শ্যাম্পু করুন।

আর শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাবেন।

এই দুটো ছাড়া চুলের বিশেষ যত্নের জন্য, মাসে দু’বার করে মেহেদী করবেন।

ঘরে বসেই হেয়ার প্যাক

সপ্তাহে একবার চুলের ঘরোয়া হেয়ার প্যাক লাগাতে ভুলবেন না। এই হেয়ার প্যাকগুলো কিন্তু আপনার চুলে পুষ্টি প্রদান করতে পারে।

ডিম লাগাতে পারেন চুলে। ডিম চুলের জন্য খুব উপকার। এতে চুল হেলদি তো হবেই, চকচকেও হবে।

হেয়ার স্পা

এছাড়াও মাঝে মাঝে হেয়ার স্পা করিয়ে নিতে পারেন।

চুলের জন্য এটা কিন্তু খুবই ভালো একটা ট্রিটমেন্ট।

বাড়িতেও করে নিতে পারেন হেয়ার স্পা। বাড়িতেই হেয়ার স্পা করা যায়।

অন্যান্য যত্ন 

এছাড়াও চুল ভালো রাখতে মাঝে মাঝে চুল একটু ছাঁটতে হবে।

আর হেয়ার ড্রায়ারের বদলে প্রাকৃতিক ভাবে চুল শুকোলে ভালো।

অনেকেই শ্যাম্পুর পর গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে থাকেন।

এটা একদম না। এটা স্ক্যাল্পের জন্য ক্ষতিকর।

তাই সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে চুল ধুবেন।

উজ্জ্বল ত্বক চান? 

ব্রণ ভর্তি গাল কার না ভালো লাগে? সবাই চায় হেলদি উজ্জ্বল ত্বক।

এটা পাওয়ার প্রথম ধাপ হল, ত্বককে সবসময় পরিষ্কার রাখা।

আর ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং এই তিনটি ধাপ প্রতিদিন করতে পারলে খুবই ভালো।

যারা ক্লিনজার ব্যবহার করেন, প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

তারপর অবশ্যই টোনার লাগাবেন। এবং তার কিছুক্ষণ পর ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।

আর যারা ফেস ওয়াশ ব্যবহার করেন তাঁরাও এটা মেনে চলতে পারেন।

মনে রাখবেন স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখা খুবই দরকার।

এই তিনটি ধাপ প্রতিদিন বাড়ি ফিরে করবেন।

ঘরোয়া ফেস প্যাক 

সপ্তাহে একদিন ঘরোয়া ফেস প্যাক লাগাবেন। যেগুলো স্কিনকে নরম কোমল ও উজ্জ্বল করে তুলবে।

এর সঙ্গে অবশ্যই মনে রাখবেন, রোজ বাইরে বেরোবার ১৫ মিনিট আগে সান প্রোটেকশন কিন্তু খুবই জরুরী।

বাইরে রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন লাগাবেন।

অনেকক্ষণ রোদে থাকতে হলে একটু হাই এস. পি.এফ. যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।

আরও যেগুলো মনে রাখবেন

১. চুলে যতটা সম্ভব রোদ কম লাগান।

২. চুল এবং ত্বকে যেকোনো রকম কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট নয়। একটু উন্নত মানের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন।

৩. বাইরের ধুলো থেকে যতটা পারেন স্কিনকে রক্ষা করবেন।

৪. স্ট্রেস ফ্রি থাকতে হবে। অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে শরীরের ক্ষতি তো হয়ই। তার সঙ্গে চুল ও স্কিনের ক্ষতিও হয়।

৫. ভারী মেকাপ করলে, অবশ্যই ভালো করে মেকাপ তুলে ঘুমোতে যাবেন। বিশেষত আই মেকাপ তুলে আই ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো। কারণ চোখের চারপাশেই আগে স্কিন এজিং আসে। বাড়িতে শসার রস, আলুর রস লাগাতে পারেন চোখের চারপাশে।

৫. ঠোঁট ফাটলে প্রতিদিন ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।

৬. আর সবশেষে বলব, হেলদি খাবার খাবেন। যাতে ভেতর থেকে ত্বক ও চুল সুন্দর হয়ে ওঠে।

তাহলে সুন্দর ঘন চুল আর উজ্জ্বল মাখনের মতো মসৃণ ত্বকের চাবিকাঠি তো এবার পেয়েই গেলেন!

এবার চুল আর ত্বকের যত্ন নিন আরামে, আর থাকুন সুন্দর!