রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ একধরনের প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন।
এটি শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা প্রয়োজন।
কিছু খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মান ঠিক রাখা যায়।
তিল
তিল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন দুই ঘন্টা। তারপর এটি বেটে পেস্ট করে নিন।
এর সাথে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। তিল এবং মধুর মিশ্রণটি দিনে দুইবার খান।
এছাড়া এক কাপ দুধের সাথে তিলের পেস্ট এবং মধু অথবা গুড় মিশিয়ে পান করুন।
এটিও রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
ডালিম
আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেইড, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে।
প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের রস পান করুন।
এছাড়া দুই চা চামচ ডালিমের গুঁড়ো এক গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। এটি দিনে একবার পান করুন।
খেজুর
এক কাপ দুধে দুটি খেজুর ভিজিয়ে রাখুন সারারাত।
পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। দুধ খেতে না চাইলে খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন।
এছাড়া ১-২টি খেজুর গরম দুধে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে এটি পান করুন।
নিয়মিত পানে এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ বৃদ্ধি করবে।
আমলকী
আয়রন, মিনারেল এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকী রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রেখে শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে থাকে।
প্রতিদিন খালি পেটে কয়েকটি আমলকী খাওয়ার অভ্যাস করুন।
এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
বিট
একটি বিট, তিনটি গাজর এবং অর্ধেকটা মিষ্টি আলু ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস করে নিন।
এটি প্রতিদিন একবার পান করুন। এছাড়া খোসাসহ বিট সিদ্ধ করুন। তারপর এটি খান।
খাওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
বিটে থাকা আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং পটাসিয়াম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে থাকে।