ত্বক শুষ্ক হলে আমাদের প্রত্যেকের উচিত, ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করে রাখা। শুষ্ক ত্বকের যত্ন আপনারা বাড়িতে বসেই করে ফেলতে পারবেন।
নারিকেল নিমের তেল
প্রথমেই হাফ কাপ নারিকেল তেল নিন।
এবার ওই নারকেল তেলের মধ্যে সাত থেকে আটটি পাতি লেবুর খোসা এবং নিম পাতা বাটা এক চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে একটি পেস্ট বা মিশ্রণ তৈরি করুন।
অতঃপর এই মিশ্রণটিকে টানা রোদে ১৫ দিন গরম করুন।
১৫ দিন পরে একটি ছাঁকনির সাহায্যে মিশ্রণটি ছেঁকে একটি পরিষ্কার কাচের বাটির মধ্যে রাখুন। আপনার তেল তৈরি।
প্রতিদিন গোসল করার পরে এই তেল ত্বকে ইউজ করুন। এক মাস পরে আপনার ত্বকের পরিবর্তন, আপনি নিজেই লক্ষ করতে পারবেন।
অলিভ আমন্ড হলুদ অয়েল
১০০ গ্রাম অলিভ অয়েল, ১০০ গ্রাম আমন্ড অয়েল এবং ৫০ গ্রাম কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
এবারে এই মিশ্রণটিকে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে একটি পরিষ্কার ন্যাকড়ার সাহায্যে ছেঁকে নিন।
এই তেলটি প্রতিদিন গোসলের পরে ত্বকে ইউজ করুন। কথা দিচ্ছি, বেশ ভালো ফল পাবেন।
চিনাবাদাম নারকেল তেল
৫০ গ্রাম চিনেবাদাম নিয়ে মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিন। ১০০ গ্রাম নারকেল তেল ওই বাদাম বাটার সঙ্গে মিশিয়ে, নেড়েচেড়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
মিনিট পনেরো ধরে এই মিশ্রণটি ফোটাতে থাকুন। ঠান্ডা হলে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে তেল বার করুন এবং প্রতিদিন ত্বকে ইউজ করুন।
অ্যালোভেরা নারকেল অয়েল
পরিমান মত অ্যালোভেরা টুকরো করে কেটে নিয়ে মিক্সিতে বেটে এক কাপ পেস্ট বার করুন।
এখন ১০০ গ্রাম নারকেল তেল অ্যালোভেরা পেস্ট-এর সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
১৫ মিনিট ফোটানোর পরে মিশ্রণটি নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
ঠাণ্ডা মিশ্রণটির থেকে, ছেঁকে তেল বার করুন। অবশ্যই নিয়ম করে গোসলের পরে এই তেল ব্যবহার করুন।
জোজোবা আমন্ড নারকেল তেল
সমপরিমান জোজোবা অয়েল, আমন্ড অয়েল এবং কোকোনাট অয়েল একত্রে মিশিয়ে নিন।
একটি কমলালেবুর খোসা দিয়ে ওই মিশ্রণটিকে গ্যাস ওভেন এ ফুটিয়ে নিন।
মিনিট পনেরো অপেক্ষা করার পরে মিশ্রণটিকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে তেল বার করে নিন এবং ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন।
উপরিউক্ত যেকোনো একটি তেল যদি আপনি নিয়ম করে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শুষ্ক ত্বক অবশ্যই প্রাণবন্ত এবং সজীব হয়ে উঠবে আশাকরি।