হালফিলের দুনিয়ায় জিরো ফিগারে থাকতে চায় অধিকাংশ মানুষ।
কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছেন,যারা না চাইতেও রোগা। প্রয়োজনের থেকে একটু বেশি রোগা।
তাদের জন্য আজ এই লেখা। তাহলে আজকের টিপস ট্রাই করে দেখতে পারেন।
তবে একটা কথা আগেভাগে বলে রাখি। যদি পর্যাপ্ত পরিমান সঠিক ডায়েট করা সত্বেও আপনার ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এখানে ওজন বাড়ানো সম্পর্কে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল। একটু মোটা হতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে যা যা করনীয় তা বলার একটা প্রয়াস মাত্র।
তবে খেয়াল রাখবেন শারীরিক কোন রকম সমস্যা থাকলে ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী নিজের ডায়েট চার্ট বানাবেন।
১. খাওয়ার অভ্যাস
অনেকেই ভাবেন বারবার অল্প অল্প করে খেলে মোটা হওয়া যায় সহজে।
কিন্তু তা সঠিক নয়। বারবার না খেয়ে বরং নিয়ম মাফিক পেট পুরে খান।
বারবার অল্প অল্প খেলে শরীরের মেটাবলিজাম বেড়ে যায় ফলে ওজন কমে আসে।
কিন্তু সময় মেনে পেট ভরে খাওয়ার খেলে মেটাবলিজাম শরীরে জমতে পারে না।
খাবারে থাকা ক্যালরি শরীরে জমে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২. কোন কোন খাবার বেশি বেশি করে খাওয়া উচিত
উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার একটু বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। শরীরে ক্যালরি বাড়লে সহজেই ওজন বাড়বে।
প্রচুর পরিমানে শাকসবজি খাওয়া শুরু করুন। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকে তাহলে ফ্যাট জাতীয় খাবার খান একটু বেশি।
সেক্ষেত্রে হালকা এক্সারসাইজ করা উচিত যাতে চর্বি অধিক মাত্রায় শরীরে না জমে।
প্রতিদিন সকালে উঠে ৬ থেকে ৭ টা কাজুবাদাম ও কিসমিস খালি পেটে খান।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আগের দিন রাতে এক গ্লাস জলে কাজু-কিসমিস ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ঐ জল খাওয়া যায়।
ওজন বাড়াতে ফ্যানভাত বা যাকে আমরা ভাতের মাড় বলি তা খাওয়া যেতে পারে।
ফ্যানভাত ভীষণ সাহায্য করে ওজন বৃদ্ধি করতে।
সাধারণত ভাতের ফ্যানে বেশির ভাগ পুষ্টি ও ফ্যাট থাকে যা মাড় ফেলে দেওয়ার সাথে সাথে বেরিয়ে যায়।
যদি এই ভাতের মাড় একমাস নিয়ম করে খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই ওজন বেড়ে যাবে।
চকলেট, মেয়নিজ মাখন, দুধ ডিম একটু বেশি করে খেতে হবে। এসব খাবারে থাকা ফ্যাট, ক্যালরি ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরী।
তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এসব না খাওয়া ভালো শরীরের জন্য।
চেষ্টা করুন রোজ রাতে ঘুমনোর আগে এক গ্লাস ঘন দুধে একচা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে।
ওজন বাড়ানোর এক মোক্ষম উপায় এটা। নিয়মিত রাতে খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য।
৩. শরীর চর্চা বা জিম যাওয়া
রোগা হওয়ার জন্য জিম যেতে হয়। সাধারণত সবাই তাই ভাবে। কিন্তু মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে জিম সাহায্য করে।
আসলে মোটা হওয়া না বলে শরীরের সুন্দর গঠন বানাতে জিম যাওয়া জরুরী বলাটা ঠিক হবে।
তাছাড়া মোটা থেকে অতিরিক্ত বেশি চর্বি দূর করতে জিম করা উচিত।
৪. মেটাবলিজাম কমানো
সাধারণত মানুষের দেহের ওজন কম হওয়ার ব্যাপারে উচ্চ মেটাবলিজাম দায়ী।
উচ্চমাত্রায় মেটাবলিজাম থাকলে শরীরে তা ক্যালরিকে বাড়তে দেয় না। ফলে ওজন কম থাকে।
তাই মোটা হতে গেলে সবার প্রথম এই মেটাবলিজাম হার কমাতে হবে।
ফলে যা খাওয়ার খাওয়া হবে তা বারতি ওজন আকারে শরীরে জমা হতে থাকবে।
মেটাবলিজাম কম রাখতে হলে রোজ দুপুরে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ ঘুমনো যেতে পারে।
যারা কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা লাঞ্চের পর ১ ঘণ্টা রেস্ট নিন। কোন কাজ করবেন না এই সময়।
৫. খাবারের পরিমান
খাবারের পরিমাণ বাড়ালেই মোটা হওয়া যায় এ ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভুল।
প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারে পরিমান নির্ধারণ করা উচিত।
আপনি যদি কম পরিমান খাওয়ার জন্য রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করা ভালো।
স্বাভাবিকভাবে যে পরিমান খাবার খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বেশি খাওয়া উচিত।
অতিরিক্ত রোগা হওয়া যেমন ভালো না তেমন অতিরিক্ত মোটা হওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
তাই শারীরিক ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়েট চার্ট মেইনটেইন করা উচিত।