Search
Close this search box.

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায়

একটি সম্পর্কে থাকে আবেগ, অনুভূতি, সহানুভূতি ও ভালোবাসা।

একে অন্যের কাছাকাছি থাকা ও বিপদে পাশে পাওয়ার মধ্যে থাকে আলাদা এক অনুভূতি।

আমাদের নিজেদের গুরুত্ব আমাদের প্রিয় মানুষের কাছে খুব বেশি হলে নিজের মধ্যে অন্যরকম আত্ববিশ্বাস গড়ে উঠে। 

একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য যা যা করণীয়

প্রথম প্রথম সম্পর্ক গুলো খুব সুন্দর থাকলেও সময়ের ব্যবধানে বা সময় যাওয়ার সাথে সাথে কলহ বিবাদ এর সৃষ্টি হয়।

ধিরে ধিরে সেটা তিক্ততায় পরিণত হয়ে ভেঙে যায়। 

তাই সম্পর্কে তিক্ততা আসার আগেই নিজের সঙ্গিনীর বা সঙ্গীর গুরুত্ব বুঝুন আর একটি সুসম্পর্ক রক্ষার যা যা করণীয় তা পালন করুন। 

সে যা ভালোবাসে, তা ভালোবাসুন

আপনার সঙ্গী যাকে বা যে জিনিসটিকে খুব বেশি প্রাধান্য দেয়, আপনিও সেই জিনিসটা প্রাধান্য দেয়া শুরু করুন।

সে যে জিনিস গুলো বা যে সম্পর্ক গুলো কে ভালোবাসে তা আপনিও ভালোবাসলে আপনাদের মধ্যাকার সম্পর্ক খুব সুন্দর হবে।

আপনার সঙ্গী খুব সহজে সেই পছন্দের বিষয় গুলো নিয়ে আপনার সাথে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারবে এবং মন খুলে কথা বলতে পারবে।

সময় দিন

সময় দিন কথাটি খুব স্বাভাবিক শোনালেও সময় দেয়া বিষয় টি একটি সম্পর্কের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  

আপনার যতই কাজ থাক, কাজ শেষ করে একে অন্যকে সময় দিন।

সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার মাঝে কি কি হয়েছে সেইগুলো শেয়ার করুন। মন খুলে হাসুন।

একান্ত নিজেরা সময় কাটান। এতে করে সম্পর্ক মজবুত হবে। 

সম্মান করুন

একটি সম্পর্কে একে অপরকে সম্মান করা টা খুব জরুরি।

আপনার সঙ্গীকে সম্মান করুন এবং আপনাকেও সে সম্মান করবে।

আপনার আচরণ, কথা-বার্তা, ব্যবহার ও অন্যের কাছে প্রকাশের সময় আপনার সঙ্গীর আত্বসম্মানের দিকে নজর রাখবেন।

সে যেন আপনার কথায় কষ্ট না পায় বা কারো কাছে ছোট না হয় । 

ভালোবাসা প্রকাশ করুন

একে অন্যকে ভালোবাসুন এবং তা প্রকাশ করুন।

প্রতিদিন তাকে নানা ভাবে বোঝান। এতে করে সেও আপনাকে বুঝবে। 

প্রশংসা করা 

প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে? সবার তার ভালো কাজের জন্য বাহবা পাওয়া উচিত। 

আপনার সঙ্গীকেও তার ভালো কাজ গুলোর জন্য প্রশংসা করুন।

এতে করে সে আনন্দিত হবে ও অনুপ্রেরিত হবে।

আর ভালো কাজের জন্য প্রশংসা পেলে কাজে আরো মনোযোগী হয়ে যায়। 

খোঁজ খবর রাখা

সব সময় যা বাইরে থেকে দেখা যায় সেটা নাও হয়ে পারে।

আবার সব সময় সবাই নিজের কথা বলেও না  তাই খোজ নিন।

কেমন আছে, কি খবর, এসব ছোট খাটো কথা জিজ্ঞেস করুন। 

উপহার দিন

মাঝে মধ্যেই উপহার দিন। সেটা হোক দামী বা একটু কম দামী। 

তাকে প্রায়শই ছোট খাটো উপহার দিয়ে খুশি রাখুন। 

ঘুরতে যাওয়া 

একঘেয়েমি জীবন থেকে একটু ছুটি কাটানো প্রয়োজন হয় মাঝে মাঝে।

একটু ব্রেক নিয়ে ঘুরে আসুন কোথাও থেকে। ঘুরতে গেলে মন ভালো থাকবে ও সম্পর্ক ও সুন্দর থাকবে। 

বিভিন্ন কথা শেয়ার করা 

আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার কাটানো নানা মুহুর্ত শেয়ার করুন।

বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করুন। বিভিন্ন টপিক নিয়ে কথা বলতে পারেন। একে অপরের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে কথা বলুন। খুব ভালো লাগবে। 

নিয়মিত যোগাযোগ করা 

একে অপরের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখুন। কিছু হলে সাথে সাথে জানানোর চেষ্টা করুন।

যোগাযোগ ঠিক রাখলে দূরত্ব তৈরি হয় না। সম্পর্ক সুন্দর ভাবে বজায় থাকে। 

হিউমার রেখে কথা বলা

একটি সম্পর্কে শুধু মাত্র গাম্ভীর্য থাকলে কেউ কারও সাথে খুব সহজে ফ্রি হতে পারে না।

হাসি মজা করুন। একটু হিউমারাস হলে খুব ফ্রি হওয়া যায়। 

শারিরীক দুর্বলতা নিয়ে কথা না বলা 

শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে কথা বললে তার কনফিডেন্স কমে যেতে পারে। তাই দুর্বলতার কথা যত এভয়েড করা যায় তত ভালো। 

ভালো কাজে বেশি বেশি উৎসাহ প্রদাণ করা

ভালো কাজ করলে তাকে উৎসাহ দিন। তাকে দমিয়ে রাখবেন না।

উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেলে আপনার সঙ্গী তার মন খুলে কাজ করতে পারবে আপনার উপর ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। 

কিছু মন্দ লাগলে সরাসরি না বলে,  ভালো করে বুঝিয়ে বলা

মানুষের দ্বারা ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক।

তবে ভুল করলে রাগ বা চিল্লা চিল্লি না করে সেটা ধিরে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলুন।

এতে করে সেও মনোবল পাবে ও পরবর্তীতে সঠিক ভাবে করার চেষ্টা করবে। সম্পর্ক ও সুন্দর হবে। 

সাহায্য করা

একে অপরকে তাদের নিজ নিজ কাজে সাহায্য সহযোগিতা করুন। 

বিশ্বস্ততা বজায় রাখুন

একটি সম্পর্কে বিশ্বাস যতটা থাকবে; ততটাই গভীর হবে বন্ধন।

বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায়।

এজন্য নিজেও সৎ থেকে বিশ্বাস বাড়াতে হবে।

এমন ছোট ছোট কাজ গুলোর মাধ্যমেই খুব সহজে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব। তার জন্য উভয় পক্ষকেই সমান ভাবে চেষ্টা করতে হবে। একজন সবসময় এফর্ট দিবে, কিন্তু অন্যজন তার করবে না তাহলে ওকয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। একটু সুন্দর সম্পর্কে দুজনেরই সমান ভূমিকা থাকে।