Search
Close this search box.

মাস্ক ব্যবহারের গাইডলাইন

চলছে করোনার ক্রান্তিকাল। ইতিমধ্যেই মাস্ক ব্যবহার নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তারা বলেছে কোভিড-১৯ ছড়ানোর ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য জনসমক্ষে ফেস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

তাই বর্তমান পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নতুন গাইডলাইন কী?

ফেস মাস্ক নিয়ে WHO এর নতুন গাইডলাইন পূর্ববর্তী গাইডলাইনের থেকে অনেকটাই আলাদা।

এতদিন অবধি তারা বলেছিল, স্বাস্থ্যবান মানুষদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই এবং বলা হয়েছিল যারা অসুস্থ বা তাঁদের পরিচর্যা করছেন, তাদের মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত।

এখন পরিবর্তিত গাইডলাইনে বলা হয়েছে, সকলেরই জনসমক্ষে নন-মেডিক্যাল কাপড়ের মাস্ক পরা উচিত।

এই মাস্কে অন্তত তিনটি বিভিন্ন ধরনের বস্তুর স্তর থাকা প্রয়োজন।

যদি কোনও ব্যক্তির কোভিড উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তিনি মেডিক্যাল মাস্ক পরবেন এবং সেলফ আইসোলেশনে যাবেন ও যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

সরকারগুলিকে WHO এর পরামর্শ, তারা যেন যেসব জায়গায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

এবং যেসব জায়গায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল, যেমন গণপরিবহণ, দোকান বা বদ্ধ জায়গা, সেখানে যেন নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়।

এছাড়া যেসব জায়গায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেসব জায়গার ক্ষেত্রে WHO এর পরামর্শ।

চিকিৎসাক্ষেত্রে কর্মরত সকলেই যেন মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করেন, কেবল কোভিড রোগীদের পরিচর্যাকারী কর্মীরাই নন।

সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ দিলে কি কোনও অসুবিধে হতে পারে?

WHO বলেছে সাধারণভাবে সমস্ত স্বাস্থ্যবান মানুষও যদি মাস্ক ব্যবহার করেন, তাহলে তার কিছু অসুবিধা ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

ফেস মাস্ক ঠিক মত ব্যবহার না করলে তা থেকে কোনও ব্যক্তি নিজেই নিজেকে সংক্রমিত করতে পারেন।

নন মেডিক্যাল মাস্ত ভিজে গেলে বা নোংরা হয়ে যাওয়ার পর তা না বদলালে ক্ষতি হতে পারে।

এর ব্যবহারের ফলে শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা যেমন হতে পারে তেমনই এর ব্যবহারের ফলে সুরক্ষা সম্পর্কে মিছে আশ্বাসও জন্ম নিতে পারে।

যার ফলে হাতের স্বাস্থ্যবিধি না মানা বা শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখার মত ঘটনা ঘটতে পারে।

অতিমারীর মধ্যে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, বিজ্ঞানীদের অধিকাংশই বলছেন এমনকী বাড়িতে তৈরি মাস্কও কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে অনেকটা সুরক্ষা দিতে পারে।

আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকাতে বাড়িতে তৈরি মাস্কই যথেষ্ট।

যদিও এই গবেষণার মূল লেখক বলেছেন মাস্ক পরলেও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।

নতুন গাইডলাইনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, “মাস্ক স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির সুরক্ষার (যাতে সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে সংক্রমণ না আসে) জন্য ব্যবহৃত হতে পারে আবার উৎস নিয়ন্ত্রণের (সংক্রমিত ব্যক্তি যাতে আর সংক্রমণ না ছড়ান) জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে।”