Search
Close this search box.

ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার কেনো এতো উপকারি?

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার রয়েছে এটি ব্যবহারে, বা সঠিক কিভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত? সব অজানা প্রশ্নের উওর রয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনে।

আজকাল আমরা ত্বকের যত্ন নিতে হাজার একটা জিনিস ব্যবহার করি। কিন্তু স্কিন যদি সঠিক ভাবে ময়েশ্চারাইজড থাকে, তাহলে আলাদা করে কিছু করার প্রয়োজন পরে না!

অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই এই কথা শুনে? তা হবারই কথা। কিন্তু এটাই সত্যি। স্কিনকে ভেতর থেকে সুস্থ্য রাখতে পারলে স্কিনে আলাদা করে কোন সমস্যা দেখা দেবে না। যা সম্ভব সঠিক ভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের দ্বারা আসুন জেনে নেওয়া যাক ময়েশ্চারাইজারের নানা ফায়দা সম্পর্কে।

ময়েশ্চারাইজারের কাজ কি?

  1. শুষ্ক ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করা ময়েশ্চারাইজারের প্রধান কাজ বলা যেতে পারে।
  2. সব রকমের স্কিনের সাথে সাথে ড্রাই স্কিনের বেশি খেয়াল রাখে ময়েশ্চারাইজার।
  3. স্কিনকে ভেতর থেকে হেলদি রাখে, যাতে বাইরের দূষণ স্কিনের ক্ষতি করতে না পারে সহজে।
  4. গাছ যেমন জল ছাড়া তার সতেজতা হারায়, ঠিক তেমনই ময়েশ্চারাইজার ছাড়া আমাদের স্কিন তার সতেজতা বজায় রাখতে পারে না।
  5. ব্রণ,ব্ল্যাকহেডস,মুখে হওয়া কালো দাগ,ছোপ থেকে আমাদের দূরে রাখতে ময়েশ্চারাইজার অসাধারণ কাজ করে।

ময়শ্চারাইজেশন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

ময়শ্চারাইজেশনের ৫টি উপকারিতা।

  1. শুষ্কতা রোধ করা
  2. বয়েসের ছাপ কমানো
  3. ব্রণর সাথে লড়াইয়ে সহায়ক
  4. সূর্যের থেকে সুরক্ষা
  5. স্কিনকে স্মুদ বা প্রশমিত রাখা

১. শুষ্কতা রোধ করা

আবহাওয়া শীতল হোক বা গরম, এসির ঠাণ্ডা হোক বা ঘরের নিজস্ব তাপমাত্রা, ইত্যাদি নানা কারন আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক। ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বকের এই হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের স্কিন সম্পর্কিত নানা ক্ষতি রোধে সহায়তা করে।

২. কমায় বয়সের ছাপ

হাইড্রেটেড ত্বক আসলে কম বয়েসের ঝলক বজায় রাখে। ভাবছেন আপনাকে কেন বলছি? আসলে আগাম সুরক্ষা নেওয়া থাকলে বয়স হলে সেই ছাপ রোধ হবে সহজেই। স্কিন যদি এখন থেকেই হাইড্রেটেড থাকে সঠিক ভাবে তাহলে মুখে বয়েছের ছাপ বা বলিরেখা সহজে দেখা দেবে না। যা স্কিন ময়শ্চারাইজেশনের মাধ্যমে করা সম্ভব।

৩. স্কিনকে রাখে স্মুদ

স্কিনের হাজার একটা সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল লালচে ভাব, চুলকানি, র‍্যাসের মত সমস্যা। স্কিন রুক্ষ থাকলে এইগুলো বেশি করে প্রকট হয়। ত্বক স্মুদ বা প্রশমিত থাকলে এগুলো দেখা দেয় না। তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের দ্বারা এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন অনায়াসে।

৪. সূর্যের থেকে সুরক্ষা

শীতকালেও যেহেতু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন এসপিএফ ব্যবহারের পরামর্শ দেন, তাই সূর্য সুরক্ষাযুক্ত ২-ইন-১ ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার অবশ্যই করুন। এটি একদিকে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে। অন্যদিকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে স্কিনকে রক্ষা করবে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন সূর্য সুরক্ষাযুক্ত ২-ইন-১ ময়েশ্চারাইজারই যেন ব্যবহৃত হয়।

৫. ব্রণের সাথে লড়াই করে

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণর সম্ভাবনা বেশি। তৈলাক্ত-ঝুঁকিপূর্ণ ত্বকে আরও আর্দ্রতা যুক্ত করা আশ্চর্য বলে মনে হতে পারে আপনার। তবে বাস্তবে এই আর্দ্রতা যুক্ত করা স্কিনের জন্য প্রয়োজন। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে এটি আপনার গ্রন্থিগুলিকে আরও তেল তৈরির জন্য একটি বার্তা পাঠায় যা আপনার ছিদ্রগুলি আটকে রাখতে পারে এবং ব্রেকআউট তৈরি করতে পারে। সুতরাং, যদি ত্বক সঠিকভাবে হাইড্রেটেড হয় তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় আরও বেশি তেল উৎপাদন থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারে।