Search
Close this search box.

গুড় খাওয়ার উপকারিতা

গুড় আমাদের দেশে অত্যন্ত প্রচলিত এবং জনপ্রিয়।

শীত পড়তে না পড়তেই আমাদের নলেন গুড়ের মিষ্টি ও পায়েসের কথা মনে পরে যায়।

আমাদের দেশে তালের রস,আখের রস ও খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরী হয়।

এই গুড় সাধারণত মিষ্টি ,পিঠে ,পায়েস জাতীয় খাবারে ব্যবহৃত হয়।

এছাড়া আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরী করতে গুড় ব্যবহৃত হয়।

বর্তমান গবেষণা বলছে গুড় চিনির থেকে অনেক বেশি ভালো।

গুড় আমাদের অনেক রকম রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে।

আজ আমরা জানবো গুড়ের উপকারিতার কথা।

গুড় কনস্টিপেশন কম করতেও সাহায্য করে

খাবার পর প্রতিদিন যদি একটু করে গুড় খাওয়া,তবে তা আমাদের হজমের সাহায্য করে থাকে।

গুড় আমাদের হজমে সাহায্যকারী এনজাইম গুলির নিষ্ক্রমণ কে বাড়িয়ে দেয়।

ফলত হজমে সহায়তা হয়। এছাড়া আমাদের মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়া গুড়ে বর্তমান ফাইবার কনস্টিপেশন কম করতেও সাহায্য করে।

এছাড়া আমাদের দেহের অশুদ্ধি গুলিকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দূর করতে সাহায্য করে।

গুড়ে প্রচুর পরিমানে আয়রণ থাকে

শরীরে আয়রণের অভাব আমাদের অনেকেরই থাকে।

এর ফলে হিমোগ্লোবিন কমে যায় এছাড়াও শরীরে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয়।

গুড়ে প্রচুর পরিমানে আয়রণ থাকে।

প্রতিদিন অল্প পরিমানে গুড় খেলে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রণের অভাব পূরণ করে।

গুড় প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম এর হাত থেকে বাঁচায় 

প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বা PMS সমস্যা সাধারণত কমবেশি সমস্ত মহিলাদের মধ্যে থাকে।

মাসিকের সময় মহিলাদের শরীরে হরমোনের কম বেশি ক্ষরণের ফলে আমাদের অনেক রকম সমস্যা হয় যেমন খেতে ইচ্ছে না করা, খিটখিটে হয়ে যাওয়া, এছাড়া খাবার দেখলে বমি ভাব আসা, পেটে যন্ত্রনা হওয়া ইত্যাদি।

প্রতিদিন গুড় খেলে এই অবস্থায় গুড় শরীরে হরমোন ক্ষরণের সমতা রক্ষা করে এছাড়া গুড় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন্স অর্থাৎ হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করে।

ফলত এই প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

গুড় শরীরে এনার্জি প্রদান করে

কার্বোহাইডেড জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে এনার্জি প্রদান করে। যেমন চিনি।

এটি আমাদী রক্তে খুনবা তারই মিশে যায় এবং খুব বেশি এনার্জি তৈরী করে।

কিন্তু অনেক সময় এই হঠাৎ করে তৈরী হওয়া এনার্জি আমাদে শরীরে রক্তে চিনির পরিমান বাড়িয়ে দেয়।

সাধারণত চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমান হঠাৎ করে কমে গেলে চিনি খেতে বলেন।

কিন্তু বেশি পরিমানে এই ভাবে দেহে চিনির পরিমান কমে যাওয়া ও বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক সময় আমাদের অন্যান্য অঙ্গ যেমন আমাদের কিডনি, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এছাড়া আমাদের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে।

গুড় খেলে এই সমস্যাটি হয়না।

কারণ গুড়ের রক্তের সাথে মিশতে ও শরীরে এনার্জি তৈরীর প্রক্রিয়া টি কিছুটা ধীরে কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়।

ফলত রক্তে গ্লুকোজ হঠাৎ করে বেশি কমে বা বেড়ে যেতে পারেনা। ফলত আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির কোনো ক্ষতি হয়না।

গুড় রক্তের অশুদ্ধি গুলি দূর করে রক্তকে পরিষ্কার করে নিয়মিত গুড় আমাদের ত্বককে যে কোনোরকম ইনফেকশন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

অ্যাজমা রুগীদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী

গুড় সাধারণত গরম হয়। তাই শীতকালে প্রতিদিন গুড় খেলে সর্দি কাশি থেকে আরাম দেয়।

এছাড়া গুড় আমাদের শরীরকে গরম রাখে শীতকালে বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ভাইরাল ফাইবারের সংক্রামণের থেকে আমাদের রক্ষা করে।

এছাড়া অ্যাজমা রুগীদের জন্যও গুড় অত্যন্ত উপকারী।

গুড়ে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

এছাড়া আয়রন, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক থাকে।

যা আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল গুলিথেকে লড়তে সাহায্য করে, এবং আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়িয়ে তোলে।

ফলে গুড় আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গুড়ে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম থাকে।

যা আমাদের শরীরে অ্যাসিড এর পরিমামনকে স্বাভাবিক রাখে।

যার ফলে আমাদের শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।

এছাড়াও গুড় আমাদের আরো অনেক রকম ভাবে উপকার করে।

যেমন ওজন কম করা, জয়েন্ট পেন কম করা, পাকস্থলীকে ঠান্ডা রাখা, লিভারকে পরিষ্কার ও ভালো রাখা ইত্যাদি।

তাই অবিলম্বে চিনির বদলে গুড় বেছে নিন এবং সুস্থ শরীরকে দীর্ঘস্থায়ী করুন।