এমন অনেকেই আছেন, যারা গাঢ় লিপস্টিক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখতে চান না।
কিন্তু সেই সঙ্গে আবার মনের কোণে একটা ভয়ও কাজ করে ।
ঠোঁট কালো হয়ে যাবে না তো?
এর উত্তর এককথায় দেওয়া সম্ভব নয়।
তবে কতগুলো সহজ উপায় আছে।
নিশ্চিতভাবেই বাতলে দেওয়া যায়।
প্রথমত, নিয়মিত ঠোঁট পরিষ্কার করুন।
লিপস্টিকের সর্বশেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলুন।
ঠোঁটের আর্দ্রতায় ঘাটতি চলবে না।
সে বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। সারাদিনে যতবার মুখ ধুচ্ছেন-

ততবার প্রথমে লিপ বাম লাগান।
তারপর লিপস্টিক টাচ আপ করুন।
ঠোঁটে এমন লিপ বাম ব্যবহার করুন যার মধ্যে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ আছে।
কারণ ত্বকের মতো আপনার ঠোঁটেও কালচেভাব ফেলতে পারে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি।
সেই সঙ্গে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেরও এক্সফোলিয়েশন একান্ত প্রয়োজনীয়।
সর, মধু আর লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন।
শুকিয়ে গেলে সামান্য চিনি আঙুলের ফাঁকে নিয়ে ঠোঁটের উপর চক্রাকারে ঘষুন।
এর ফলে সমস্ত মৃত কোষ সরে যাবে।
যদি এরপরেও মনে হয় যে ঠোঁটের কালচেভাব বাড়ছে-
তাহলে বদলে ফেলুন আপনার টুথপেস্ট।
টুথপেস্টের কোনও বিশেষ উপাদান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
সেকারণেও ঠোঁটের স্বাভাবিক রং বদলে গাঢ় হয়ে যেতে পারে।
এবার প্রশ্ন, যদি ঠোঁটের রং কালো হয়েই যায়, তা হলে কীভাবে সামলাবেন?

কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ট্রাই করে দেখার পরামর্শ দিবো
সেই সঙ্গে একবার ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গেও কথা বলে নেওয়া উচিত।
কারণ কোনও শারীরিক সমস্যা থেকে এই পিগমেন্টেশন হচ্ছে কিনা, তা জেনে নেওয়া দরকার।
নারকেল তেলের পরত লাগান ঠোঁটে।
তা ময়েশ্চরাইজার হিসেবে কাজ করবে।
ঠোঁটের স্বাভাবিক রং বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।
পাতিলেবু আর মধু মিশ্রণ বানিয়ে প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরাও।
শসার রস আর বেদানার রসও ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
তবে যাই করুন না কেন, মনে রাখবেন যে রাতারাতি ফল পাওয়ার আশা তেমন থাকে না।
ধৈর্য ধরে একটু অপেক্ষা করতেই হবে!