Search
Close this search box.

মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়াবেন যে ৪ উপায়ে

শুধু ভালো করে সাজলেই তো হলো না। এই সাজ যাতে সারাদিন আপনার সঙ্গী হয়ে থাকে তার দিকেও তো নজর দিতে হবে!

কারণ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সেজেগুজে রাস্তায় বেড়িয়ে ঘেমে-নেয়ে আমাদের মেকআপ অর্ধেক নষ্ট হয়ে যায়।

কখনো কখনো বিয়েবাড়ি বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে পৌঁছনোর আগেই পুরো মেকআপের বারোটা বেজে যায়।

অগত্যা সব সময় ব্যাগে মেকআপ সরঞ্জাম নিয়ে ঘুরতে হয়। এখন থেকে নিশ্চিন্তে আপনার মেকআপকে লক করুন আপনার মুখে সারাদিনের জন্য।

মেকআপ করার আগে বিশেষ ৪ টি বিষয় মাথায় রাখলেই কিন্তু বিনা টাচ আপ আপনি বিন্দাস হয়ে আপনার মেকআপ সারাদিন ক্যারি করতে পারবেন।

তবে কি সেই জাদু তা জানতে হলে কিন্তু আজকের আর্টিকেল পড়তেই হবে।

মেকআপ প্রসাধনীর সঠিক নির্বাচন

আপনি যখন মেকআপ প্রোডাক্টগুলি কিনবেন তখন অবশ্যই আপনার ত্বকের ধরণ এবং স্কিন টোন অনুযায়ী কিনবেন।

কারণ প্রতিটি স্কিন টাইপের জন্য আলাদা আলাদা প্রোডাক্ট রয়েছে। আপনার স্কিন যদি অয়েলি হয় এবং আপনি নর্মাল স্কিনের মেকআপ

ব্যবহার করে থাকেন তবে তা কোনো ভাবেই খুব একটা কার্যকরী হবে ন।

তাই মেকআপের সরঞ্জাম কেনার সময় প্রথমে নিজের স্কিন টাইপ সম্পর্কে জানুন। তারপরে প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টটি কিনুন।

ত্বকের ময়লা দূর করুন

আমাদের মুখে যদি তেল,ঘাম, ধুলো-ময়লার পরত থাকে, তাহলে তার ওপর মেকআপ করলে কিন্তু মেকআপ ত্বকে ভালো করে বসবে না।

বরং মেকআপ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা নষ্ট হতে শুরু হয়ে যাবে। তাই ত্বক পরিষ্কার না করে কখনই মেকআপ করা উচিত নয়।

তাই প্রথমে ফ্রেশ ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, তারপর ভালো করে স্ক্রাবার দিয়ে বিশেষ করে আপনার টি-জোনটি পরিষ্কার করুন।

এরপর তুলা দিয়ে মুখে টোনার প্রয়োগ করুন। এতে আপনার ত্বক একেবারে ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এতে মেকআপ ভালো করে মুখের সাথে মিলিয়ে যাবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।

ত্বককে নমনীয় করে তুলুন

মুখ পরিষ্কার হয়ে গেলে মুখ মুছে এক টুকরো বরফ ভালো করে আপনার মুখে ঠোঁটে, চোখের পাতার ওপর বুলিয়ে নিন।

এতে আপনার ত্বক ভেতর থেকে ঠান্ডা হবে এবং ঘাম কম হবে। বরফ লাগানো হয়ে গেলে একটি নরম কাপড় দিয়ে তা মুছে মুখে হালকা করে ময়েশ্চারাইজার মাখুন।

এরপর অন্তত ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। কারণ ময়েশ্চারাইজার মাখার পর তা ত্বকের ভেতরে গিয়ে ত্বককে নমনীয় করে তোলে।

বরফ স্কিন পোরগুলিকে ঢেকে দেয় এবং এতে কিছু সময় লাগে।

এর ফলে আপনার ত্বক মেকআপের উপযোগী হয়ে ওঠে এবং মেকআপ স্কিন পোরের ভেতরে ঢুকতে পারে না। ফলে তা আপনার ত্বকে অনেক বেশী সময় সেট হয়ে থাকে।

আপনার ঠোঁট দুটিকেও কিন্তু ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না।

প্রাইমার ও ফাউন্ডেশন এর ব্যবহার

মেকআপের প্রথমে প্রাইমার এবং তারপর ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিতে হবে।

আজকাল কিন্তু বাজারে লং লাস্টিং প্রাইমার ও ফাউন্ডেশন ও ওয়াটার প্রুফ ফাউন্ডেশন কিনতে পাওয়া যায়।

সবার আগে মুখে ভালো করে প্রাইমার লাগিয়ে নিন। প্রাইমার না লাগিয়ে ফাউন্ডেশন লাগালে তা আপনার ত্বককে খুব তাড়াতাড়ি ড্রাই করে দেয়

এবং মেকআপ কিছুক্ষণের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রাইমার লাগিয়ে তবেই ফাউন্ডশন প্রয়োগ করুন।

মনে রাখবেন কোনো ভাবেই হাত দিয়ে ঘষে ফাউন্ডেশন প্রয়োগ করবেন না। ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে ত্বকের সাথে।

এরপর বাকি মেকআপ আপনি প্রয়োগ করতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে মেকআপ ব্রাশ ব্যবহার করুন।

তাহলে তা বেশি ভালো করে ত্বকের সাথে ব্লেন্ড হবে এবং বেশীক্ষণ স্থায়ী হবে।

এছাড়া চোখে কাজল যাতে না স্মাজ করে তার জন্য ফেস পাউডার চোখের নিচের অংশে প্রয়োগ করুন।

এছাড়া কনসিলার প্রয়োগ করুন চোখের মেকআপ বেশীক্ষণ স্থায়ী করার জন্য।

লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপলাইনার লাগিয়ে নিন এবং ভালো ও বেশীক্ষণ স্থায়ী লিপস্টিক লাগান।

লিপলাইনার লাগানোর পর ঠোঁটে পাউডার লাগিয়ে নিন এবং অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে তার পর লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগান।

এতে আপনার লিপস্টিক কিন্তু অনেক বেশীক্ষণ একই ভাবে থাকবে। দেখছেন তো কত সহজ মেকআপ ঠিক রাখা!

মাত্র ৪ টি সহজ পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে দীর্ঘক্ষণ আপনার মেকআপকে আপনার মুখে লক করে রাখতে।

তাই এখন থেকে বিন্দাস হয়ে মেকআপ করুন আর বিন্দাস হয়ে ঘুরে বেড়ান, কারণ আপনার মেকআপ হবে এখন আপনার বন্ধু দীর্ঘস্থায়ী পরম বন্ধু।