পড়াশোনা হোক বা মেকআপ, সব ক্ষেত্রে সবার আগে বেসিক জানাটাই জরুরি।
বেসিক জানলে তবেই না আসল জ্ঞান আহরণ সম্ভব হয়।
বেসিক মেকআপ করতে চাইলে ত্বকের সাথে মানানসই ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার, প্রাইমার, ফাউন্ডেশন, কনসিলার, সেটিং এলিমেন্ট, ব্লাশ-অন, কনট্যুর, আইশ্যাডো, আইলাইনার, এবং লিপস্টিক থাকা প্রয়োজন।
মেকআপের প্রসেসটা একটু কঠিন, কয়েকটি ধাপে মেকআপ করতে হয়।
তবে আপনি যদি একবার শিখে নিতে পারেন!
তাহলে পরবর্তীতে বেসিক মেকআপ করাটা কোন ব্যাপারই মনে হবে না।
আজকের আয়োজনে থাকছে বেসিক মেকআপের কমপ্লিট গাইডলাইন।
প্রথম ধাপ: ফেসওয়াশ ব্যবহার ক্রুন
সকাল-সন্ধ্যা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পাশাপাশি যখনই মুখের ত্বকে আঠালো বা ধুলোবালি অনুভূত হবে, তখনই ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিৎ।
ফেসওয়াশ ব্যবহার করার আগে এবং আপনার মুখ স্পর্শ করার আগে সাবান এবং পানি দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন।
মুখ পরিষ্কার করতে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। তবে খুব গরম পানি দিয়ে মুখ ধুবেন না।
দ্বিতীয় ধাপ: ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ক্রুন
ত্বকের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
যেহেতু শীতে ত্বক প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে, তাই এই সময় বাইরে থেকে ত্বকে আর্দ্রতার প্রলেপ তৈরি করা প্রয়োজন।
এই কাজটিই করে ময়েশ্চারাইজার।
আপনি যদি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করেন তবে ধীরে ধীরে ত্বক আরও রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে উঠবে।
তৃতীয় ধাপ: প্রাইমার ব্যবহার ক্রুন
প্রথমে আপনার হাতের তালুতে প্রাইমার নিন অল্প করে।
এবার সেখান থেকে আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে সারা মুখে বিন্দু বিন্দু করে লাগিয়ে নিন।
সারা মুখে তারপর মেখে নিন ভালো করে।
নাকের ধার থেকে মুখের দিকে আঙ্গুল নিয়ে গিয়ে ভালো করে মুখে ব্লেন্ড করুন প্রাইমার।
চতুর্থ ধাপ: চাই মানানসই ফাউন্ডেশন
ফাউন্ডেশন সেট করতে সবার শেষে পাউডার লাগাতে হবে।
সেক্ষেত্রে ট্রান্সলুসেন্ট বা প্রেসড পাউডার ব্যবহার করা ভালো।
ত্বকের যেসব জায়গা সহজে তৈলাক্ত হয়, সেখানে পাউডার মেশাতে হবে।
নাকের পাশে, টি–জোন, চোখের নিচে, থুতনিতে পাউডারের ব্যবহার জরুরি।
পঞ্চম ধাপ: দাগ ঢাকুন কনসিলার দিয়ে
ত্বকে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে বা পরে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন।
তবে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পরে কনসিলার ব্যবহার করা বেশি ভালো।
যদি পরে ব্যবহার করেন তাতে ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় কনসিলার ছড়িয়ে যাওয়ার বা বেশি ব্লেন্ড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
ষষ্ঠ ধাপ: সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপটি ঠিক করে নিন
সেক্ষেত্রে মেকআপ সেটিং স্প্রে কিন্তু আপনার মেকআপকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মেকআপ সেটিং স্প্রে আসলে একধরণের মেকআপ, যা মেকআপ হয়ে যাওয়ার পর মুখে অ্যাপ্লাই করে নিলে মেকআপ আপনার স্কিনে খুব ভালো ভাবে বসবে।
সপ্তম ধাপ: ব্লাশ-অন, কনট্যুর ও হাইলাইটার ফিনিশিং টাচের জন্য
ব্লাশ-অন, কনট্যুর ও হাইলাইটার ব্যবহারের প্রধান নিয়মই হচ্ছে এটি মুখের এমন সব জায়গায় অ্যাপলাই করা যেসব জায়গায় লাইট সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয়।
এতে করে ঐসব জায়গা হাইলাইট করার মাধ্যমে চেহারায় উজ্বল ভাব আসে।
বিভিন্ন রকমের হাইলাইটার রয়েছে, যেমন – ক্রিম, লিকুইড এবং পাউডার হাইলাইটার।
অষ্টম ধাপ: আই মেকআপ করুন
প্রথমে কনসিলার বা প্রাইমার লাগিয়ে চোখের বেইজ তৈরী করে নিন।
যারা লেন্স পরতে চান তারা আগেই লেন্স পরে সাজ শুরু করতে পারেন।
রাতে আমরা স্মোকি আইলুক করতে পারি কিংবা ডার্ক কালারের আইশ্যাডো বা চোখে গ্লিটার ব্যবহার করতে পারি এতে চোখ অনেক আকর্ষণীয় লাগে।
তারপর টানা করে আইলাইনার দিয়ে তারপর চোখে ফলস্ আইল্যাশ লাগাতে পারেন।
নবম ধাপ: ঠোঁট রাঙিয়ে নিন ত্বক এবং মেকআপের ধরন বুঝে
গাঢ় রংয়ের লিপ পেন্সিল দিয়ে ঠোঁট সামান্য বাড়তি করে এঁকে তা আঙ্গুলের সাহায্যে ছড়িয়ে দিন।
তবে খেয়াল রাখবেন যেন গাঢ় রং ঠোঁটের ভেতরের দিকেই থাকে, এতে দেখতে ঠোঁট গাঢ় ও বড় লাগবে।
সঠিক উপায়ে হাইলাইটার ব্যবহার: ঠোঁটকে টানটান ও ভরাট দেখাতে হাইলাইটার সহায়তা করতে পারে যদি তা সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা যায়।