সুস্থ থাকতে চাইলে আজ থেকে শুরু করে দিন মেডিটেশন করা।
বিশ্বায়নের এই যুগে হাজার একটা সমস্যা মানুষের জীবনে, আর তা থেকে কিছুটা হলেও শান্তি পেতে পারেন মেডিটেশন করে।
রোজ নিয়ম করে একটা সময় বের করে নিন মেডিটেশনের জন্য।
দেখবেন কিছু দিনের মধ্যেই পরিবর্তন অনুভব করবেন।
আজকাল মেডিটেশন মেডিটেশন করে সবাই কম বেশি যে বলে চলেছে, কিন্তু আসলে কী এই মেডিটেশন!
আজকের লেখা থেকে জেনে নিন ।
কী এই মেডিটেশন?
মেডিটেশন হলো যোগ বা ধ্যান। সাধারণত মেডিটেশন ধ্যান বা যোগাসনের একটি পার্ট।
এক ধরণের এক্সারসাইজ বলা যেতে পারে।
অস্থির মনকে স্থির করার একধরনের প্রক্রিয়া।
নিজে নিজেকে অনুভব করার এক প্রক্রিয়া বললে খুব একটা ভুল বলা হয় না।
যখন মন অপ্রয়োজনীয় সব কিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে নিতে পারে তখন আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা সব থেকে বেশি পরিমানে কাজ করে ও নিখুঁত ভাবে কাজ করে।
মেডিটেশন জীবনে এনে দিতে পারে শান্তি। মানসিক শান্তির জন্য অবশ্যই মেডিটেশন করা উচিত।
ব্রিদিং মেডিটেশন সাধারণত আমরা করে থাকি। তবে এই মেডিটেশন অনেক রকমের হয়ে থাকে।
প্রতিদিনে ২ থেকে ৩ বার ১৫-২০ মিনিট সময় বার করতে নিয়ম মাফিক ব্রিদিং মেডিটেশন করতে পারলে সব দিক থেকে শান্তি পাবেন।
সে মানসিক শান্তি হোক বা শারীরিক শান্তি।
সাধারণত মেডিটেশন করতে হয় পদ্মাসন, সুখাসন, অর্ধপদ্মাসন, স্বস্তিকা আসনে বসে।
স্বাভাবিক ভাবে নিশ্বাস নেওয়া হল একটা স্টেপ। শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করবেন না মেডিটেশন করার সময়।
সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার প্যাক্টটিস করুন।
নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় মনসংযোগ করুন নিঃশ্বাসের শরীরের ভিতরে যাওয়া ও বেরনোর প্রক্রিয়ার ওপর।
মেডিটেশনের পোশাক
যেকোনো ঢিলেঢালা পোশাক পরতে পারেন। চেষ্টা করবেন সুতির কাপড় পরে মেডিটেশন করতে।
এই সময় শরীরে কোন প্রকার গহনা যেন না থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
মেডিটেশনের জন্য উপযোগী পোশাক হলো পরিষ্কার পাজামা-পাঞ্জাবি ট্রাউজার বা ট্রাক স্যুটও।
হালকা ধরনের জামা শরীরকে অস্থির হতে দেয় না। ফলে মন দিয়ে মেডিটেশন করা যায়।
কীভাবে করবেন মেডিটেশন
শরীর ভালো না থাকলে মেডিটেশন করা শরীরের জন্য উপযোগী নয়।
একটি শান্ত জায়গা খুঁজে নিন যেখানে দিনে অন্তত ১বার আরাম করে বসে মেডিটেশান করা যাবে।
দুটো পা একটার উপর আরেকটা তুলে বসুন। তবে পিঠ ও শিরদাঁড়া সোজা রেখে আপনি যেকোনো পজিশনে বসতে পারেন।
পিঠ সোজা করে না বসলে ঘুম পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
দুচোখ বন্ধ করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোনিবেশ করতে থাকুন।
ধীরে ধীরে মেডিটেশনের মাধ্যমে ধৈর্য বেড়ে যাবে। সব সময় শান্ত থাকার ক্ষমতা চলে আসবে।
অশান্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে ভালো লাগবে। সমস্যাময় জীবনেও বাঁচার শান্তি খুঁজে নেবেন নিজেই।
আর তার জন্য কারো ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না।