Search
Close this search box.

রুপচর্চাতেও পরিবর্তন আসুক প্রকৃতির পালাবদলে

শীত পড়া মানেই গোটা শরীরের ত্বক খসখসে হতে আরম্ভ করবে।

উত্তরের বাতাসে জলীয় বাষ্প প্রায় থাকেই না।

তাই ত্বকের সংস্পর্শ তা এলেই আর্দ্রতা শুষে নিতে আরম্ভ করে।

ফলে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে ক্রমশ।

অতি শুষ্ক ত্বকে নানা ধরনের র‍্যাশ হয়।

চুলকানি বেরোয়, হতে পারে ইনফেকশন।

ঠান্ডায় সর্বক্ষণ পিঠ পিড়পিড় করে।

এভাবে চুলকোলে কারই বা ভালো লাগবে?

তাই ত্বকের যত্ন এখন থেকেই নিতে আরম্ভ করুন।

তাহলে ঘোর শীতে কোনও সমস্যাই আপনাকে বিব্রত করতে পারবে না।

আর কে না জানে, ত্বকের যত্ন ঠিকমতো না হলে তা অকালেই বুড়িয়ে যাবে!

খুব গরম জলে স্নান করবেন না: 

শীতের দিনে উষ্ণ জলে স্নান করার মজাই আলাদা।

কারণ তা আপনার শরীরের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

কিন্তু বেশিক্ষণ গরমজলে স্নান করলেই হারাতে আরম্ভ করবে ত্বকের আর্দ্রতা।

তাই বেছে নিন হালকা গরম জল।

মিনিট পাঁচেকের বেশি সময় জলের তলায় কাটানোর দরকারও নেই।

যত বেশি সময় ধরে স্নান করবেন, তত বাড়বে ত্বকের রুক্ষতা।

অবশ্যই ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করুন: 

আমাদের ত্বকের একেবারে বাইরের স্তরটির নাম এপিডার্মিস।

এই স্তরটিই ভিতরের লেয়ারগুলির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।

এবং সবচেয়ে তাড়াতাড়ি আর্দ্রতা হারায়।

ত্বকের শুষ্কতা ঠেকানোর সবচেয়ে প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে ময়েশ্চরাইজার।

যা এপিডার্মিসের উপর সুরক্ষা বলয় তৈরি করবে।

নিয়ম হচ্ছে স্নানের পর তোয়ালে দিয়ে গা মুছে নিন।

ঈষৎ ভেজা ত্বকেই পেট্রোলিয়াম জেলি বা তেলের পরত লাগান।

তাতে ত্বকের আর্দ্রতার স্তর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না শুকনো হাওয়া।

চাইলে এই তেলের পরতের উপর গাঢ় ও ভারী কোনও ময়েশ্চরাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।

রোদ লাগলে এই শুষ্কতা আরও বাড়বে: 

শীতের দিনে রোদের মধ্যে দাঁড়াতে সবারই ভালো লাগে।

কিন্তু জানেন কি, সূর্যালোকের প্রভাব আপনার ত্বককে ক্রমশ আরও শুষ্ক করে তোলে?

তাই বেলা পড়ে এলেই একমাত্র সূর্যের আলোর নিচে দাঁড়ানোর কথা ভাবুন।

সেই সঙ্গে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেও ভুলবেন না।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক বেশি তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে পড়বে।

সেক্ষেত্রে ময়েশ্চরাইজ়ার বদলালেই ভালো করবেন।

খুব চড়া গন্ধওয়ালা সাবান থেকে দূরে থাকুন: 

চড়া গন্ধের সাবান বা পারফিউম, কোনওটাই শীতের দিনে ব্যবহার করা উচিত নয়।

অতিরিক্ত রাসায়নিকের প্রভাবে আপনার ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে পড়বে।

হালকা কোনও গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন।

সাবানের পরিবর্তে তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলিও ক্লেনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

আর্দ্র ত্বকে তা লাগিয়ে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করুন।

তারপর ভেজা তোয়ালে রগড়ে মুছে নিলেই ত্বক ঝলমলে হয়ে উঠবে।

নিয়মমাফিক ধুয়ে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।

স্ক্রাব করা বা খুব বেশি ঘষাঘষির দরকার নেই: 

শীতের ক’টা দিন অন্তত খুব বেশি স্ক্রাবিং করার দরকার নেই।

সপ্তাহে একদিনই যথেষ্ট।

তাতেও ব্যবহার করুন দুধের সর, ময়দা, কমলালেবুর খোসার মিশ্রণ।

তা আপনার ত্বককে কোমল ও মোলায়েমভাবে পরিষ্কার করে তুলবে।

খাদ্যতালিকায় নজর দিন: 

সঠিক খাবার খাওয়াটা খুব জরুরি।

কমলালেবু, আমলকী, পাতিলেবু খান নিয়ম করে, তাতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ই মেলে আমন্ড বাদাম, মাছের তেলে।

সবকিছুই আপনার শীতের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

প্রচুর জল পান করুন, খেতে পারেন স্যুপ, গ্রীন টি।

তাতে ত্বক আর্দ্রতার জোগান পাবে স্বচ্ছন্দে।

অফিসে এসি চলছে? লাগান হিউমিডিফায়ার: 

শীতকালেও যাদের বাড়িতে বা অফিসে এসি চলে-

তাদের হিউমিডিফায়ার একান্ত প্রয়োজনীয়।

তা না হলে কিন্তু ত্বক বেশি তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে পড়বে।