ঘুমের সময় আপনার ত্বকের দরকার আরও বেশি কিছু।
আপনি যখন ঘুমোন, তখনও আপনার ত্বক কাজ করে যায়, সারাদিনের ঝড়ঝাপটা কাটিয়ে উঠে নিজেকে মেরামত করায় ব্যস্ত থাকে।
তাই ঘুমের সময়টুকু ত্বককে দিন স্পেশাল যত্ন আর ঝলমলে হয়ে জেগে উঠুন প্রতি সকালে।
সুতি নয়, ব্যবহার করুন সাটিন বা সিল্কে তৈরি বালিশের কভার
সুতির তৈরি ওয়াড়ে ঘুমোলে ত্বকে কুঞ্চন দেখা দিতে পারে, যা পরে বলিরেখার রূপ নেয়।
সিল্ক বা সাটিন অনেক বেশি মসৃণ আর কোমল,ফলে ঘুমোনোর সময় ত্বক থাকে টানটান।
নজর দিন ঘুমোনোর ভঙ্গির উপর
এ কথা ঠিক, ঘুমিয়ে পড়ার পর শরীরী বিভঙ্গের উপর আপনার খুব একটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
কিন্তু যদি একবার চিত হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস করতে পারেন, তা হলে ত্বকের খুব উপকার হবে।
পাশ ফিরে ঘুমোলে ত্বকে প্রচুর ঘষা লাগে, যা থেকে কোঁচকানো ভাব দেখা দিতে পারে।
ঘুমানোর সময় দুটো বালিশ ব্যবহার করুন, তাতে ঘুম ভাঙার পর চোখের কোলের ফোলাভাব থাকবে না।
বালিশের কভার নিয়মিত বদলে ফেলুন
অপরিচ্ছন্ন বালিশের ওয়াড়ে ঘুমোলে বালিশে লেগে থাকা তেলময়লা মুখেও লেগে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আপনার ত্বক।
যদি বাড়িতে বাচ্চা বা পোষা জীবজন্তু থাকে, অতি অবশ্যই কয়েকদিন পরে পরেই নিয়ম করে বালিশের ওয়াড় বদলে ফেলুন।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেশি লবণ দেওয়া খাবার খাবেন না বা মদ্যপান করবেন না
বেশি লবণ খেলে শরীরে জল জমে যেতে পারে, তাতে চোখের নিচের ফোলাভাব বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়, ফলে চোখের নিচের অংশ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কালচে লাগে।
তাই ঘুমোনোর আগে এ সব অভ্যেস এড়িয়ে চলুন।