তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণ সমস্যায় অনেকেই আক্রান্ত হন। এ সময় ঠিক কী করবেন এবং কী করবেন না, এ নিয়ে আক্রান্তদের মাঝে বিভ্রান্তি থাকে।
অনেকেই সঠিকভাবে নিয়মকানুন না জানার কারণে অযাচিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করেন।
তাই তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের সতর্কভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
এতে ত্বকের ক্ষতি এড়ানো যাবে।
যে কারণে ব্রণ হয়
অনেকেরই স্বাভাবিকভাবে তৈলাক্ত ত্বক হতে পারে। ত্বকের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে জমা তেল ধীরে ধীরে বের হয়ে আসে।
এ ধরনের ত্বক যাদের রয়েছে তাদের বাড়তি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হয়।
অন্যথায় ত্বকে পড়া ময়লা, প্রসাধনী ব্যবহার কিংবা অন্য কোনো কারণে ভেতরের তেল বের হতে পারে না। ফলে ব্রণের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
যা করবেন না
এ ধরনের সমস্যায় হাত দিয়ে বা নখ দিয়ে ব্রণ কোনোক্রমেই ধরা যাবে না।
ব্রণ আক্রান্ত স্থান ধোয়ার সময় জোরে ঘষা যাবে না। এতে সমস্যা আরো বাড়বে।
অনেকেই কোল্ড ক্রিম বা অনুরূপ ক্রিম ব্যবহার করেন, যা সমস্যা আরো বাড়ায়।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বক সমস্যার সমাধানে করণীয়
তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণের জন্য যথাযথ রুটিন অনুসরণ করে ত্বকের যত্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ভালো একটি প্রসাধনী ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
এরপর বেনজয়েল পারঅক্সাইড এবং রেটিনয়েডস বা এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের ভেতর তেল জমা হয়ে ব্রণ হতে পরে।
এ কারণে অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ত্বকের ছিদ্রগুলো খোলার ওষুধের ব্যবস্থা করতে হয়।
শীতকালে নিয়মিত ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়।
রোদ এড়িয়ে চললে এবং রোগে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালো হয়।
এছাড়া তৈলাক্ত, মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হয় এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়।
অতিরিক্ত ব্রণের জন্য অনেক সময় হরমোনজনিত সমস্যা দায়ী। সেক্ষেত্রে হরমোন চিকিৎসা করতে হয়।
কিছু ঘরোয়া টিপস
১. আক্রান্ত এলাকায় মধু-ভিত্তিক প্যাক ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
২. মুখের সোনার বা স্টিম চিকিৎসায় ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে ত্বকের ছিদ্রগুলো তেল বের হওয়ার জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব।
৩. মুখের ফেসিয়ালের মতো কিছু পরিচর্যায় এতে উপকৃত হতে পারে।
৪. হলুদে ব্রণসহ ত্বকের বহু সমস্যা নিরাময়ের উপকরণ রয়েছে।এজন্য ফেস মাস্কে ব্যবহার করতে পারেন হলুদ।
৫. প্রতি বেলায় নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার বাদ দিতে হবে।
৬. ঘৃতকুমারি বা অ্যালোভেরা জেল বা গাছগাছড়ার ওষুধ ব্যবহারে ত্বকের এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।