রূপ ধরে রাখতে রূপচর্চার বিকল্প নেই।
বয়স যদিও থামিয়ে রাখা যায় না তবে একটু যত্নশীল হলে চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখা সহজ হয়ে যায়।
আমাদের দেশের নারীরা রূপচর্চায় সচেতন বহুকাল ধরেই।
বর্তমানে পুরুষেরাও একটু একটু করে আগ্রহী হতে শুরু করেছেন।
যেসব উপাদান এই রূপচর্চার ক্ষেত্রে কাজে লাগে তার মধ্যে অলিভ অয়েল অন্যতম।
স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে অলিভ অয়েলের পরিচিতি রয়েছে।
এটি রান্নার কাজে ব্যবহার করলে উপকার তো মেলেই, সেইসঙ্গে রূপচর্চায়ও সমান কার্যকরী।
বিশেষ করে শীতের সময়ে অলিভ অয়েলের বিকল্প ভাবতে পারেন না অনেকেই।
এটি শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফেরানো ছাড়াও আরও অনেক উপকার করে থাকে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
ঠোঁটের যত্নে
ঠোঁটের মৃত কোষ তুলে ফেলতে লিপ স্ক্রাব করা জরুরি।
সেজন্য ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল।
এটি ঠোঁট নরম রাখে ও ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করে।
স্ক্রাব তৈরির জন্য এক চা চামচ অলিভ অয়েল, এক টেবিল চামচ চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ ঠোঁটে মাসাজ করে নিন।
তবে খুব জোরে মাসাজ করবেন না। হালকা করে ঘষুন।
এরপর পরিষ্কার পানিতে ঠোঁট ধুয়ে নিন।
চুলের যত্নে
চুল মজবুত ও ঝলমলে করতে অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলে ব্যবহার করুন।
গরম তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখুন ১০ মিনিট।
এরপর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
রোদে পোড়া দাগ কমাতে
রোদ আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে।
তাই প্রতিদিন শরীরে রোদ লাগানো জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত রোদ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
এটি ত্বকে পোড়া দাগ সৃষ্টি করে। এই রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল।
সিকি কাপ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ও এক কাপ অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখুন।
এবার সেখান থেকে রোদে পোড়া স্থানে দিনে তিন-চারবার ব্যবহার করুন।
এতে ত্বকের পোড়া এবং জ্বালাভাব দুটোই দূর হবে।
ত্বক ময়েশ্চারাইজাড রাখতে
ত্বক ভালো রাখতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার বিকল্প নেই।
সেজন্য পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিতে হবে ত্বকের যত্নও।
এমন উপাদান ব্যবহার করতে হবে যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
সেজন্য গোসলের পানিতে তিন-চার চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই পানিতে গোসল করুন।
এতে ত্বক আর্দ্র ও কোমল থাকবে। আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।