আপনি কি পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন নিয়মিত? যদি করে থাকেন, তাহলে আপনার এই অভ্যাসের পরিবর্তন করবেন না।
আর যদি না করে থাকেন, তাহলে আজই আপনার বিউটি রুটিনে এটা আপনি যোগ করুন। সুন্দর, মখমলের মতো স্কিন পেতে কিন্তু এর কোনো জুড়ি নেই।
তবে যদি ভালো করে জেনে নেওয়া যায় যে ঠিক কী কী উপকার পাওয়া যায় এই পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করলে, তাহলে বোধহয় ভালোই হয়।
ত্বক নরম বানাতে
মখমলের মতো নরম ত্বক কে না চায়। যেহেতু পিল-অফ মাস্কের মধ্যে একটা জেল উপাদান থাকে, তাই এটা ত্বক নরম বানাতে সাহায্য করে।
এটা মুখের মধ্যে আসা ক্লান্তি ভাব দূর করে আপনার মুখকে সঙ্গে সঙ্গেই তরতাজা বানিয়ে দেবে। বেশ একটা ফ্রেশ লুক দেবে।
তাছাড়া এটা যে কোনো স্কিনের মানুষই ব্যবহার করতে পারেন। অতএব, যাদের সেন্সিটিভ স্কিন, তারা অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসিয়াল হেয়ার দূর করে
মুখে অবাঞ্ছিত লোম থাকলে তা কারুরই ভালো লাগে না। আর এই লোম তোলা বেশ শক্ত কাজ।
আপনি যদি পিল-অফ মাস্ক মুখে রেখে শুকনো করে তা তোলেন, দেখবেন সেই লোমগুলো উঠে আসছে।
এর পাশাপাশি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতাও আনবে এই মাস্ক। মুখ অনেক পরিষ্কার লাগবে।
ডেড স্কিন সেল দূর করে
মুখের লাবণ্য বজায় রাখতে ডেড সেল তোলা খুবই জরুরী। একে বলে ‘এক্সফোলিয়েশন’।
পিল-অফ মাস্ক খুব ভালো করে ত্বকের ডেড সেল দূর করে। তাছাড়া ত্বকের গভীরে জমে থাকা ময়লাও টেনে দূর করে এই মাস্ক। তাই ত্বক হয় সুন্দর, সহজেই।
বন্ধ পোরস খোলে
অনেকসময় আমাদের স্কিনের পোরসের মুখ নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকে অনেক সমস্যা হয়।
সেখানে রক্ত চলাচলে অসুবিধা হয়। ময়লা তো জমে থাকেই। পিল-অফ মাস্ক এই পোরস খুলে দেয়।
তাই আমাদের স্কিন আবার শ্বাস নিতে পারে। পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও কমায়।
আর্দ্র রাখে ত্বক
ত্বক আর্দ্র থাকা খুব জরুরী সবসময়। নইলে ত্বক ফেটে গিয়ে আমাদের ওখানেই দফারফা।
পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে ভিটামিন আর নিউট্রিয়েন্টস থাকায় তা স্কিনকে হাইড্রেট করে। ত্বক তাই সবসময় হাসে।
বলিরেখা আটকায়
আপনার মুখে কি বলিরেখা দেখা দিয়েছে? তাও আবার অল্প বয়সেই? তাহলে এখন থেকেই এই পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার শুরু করুন।
এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্কিনকে টাইট রাখে, তাই বলিরেখা আসে না। তাছাড়া স্কিন যেহেতু আর্দ্র থাকে, তাই ফাইন লাইনস কমই হয়।
ইনফেকশন দূর করে
আমাদের মুখে ময়লা জমে থাকার জন্যই হোক, বা পোর্স বন্ধ থাকার জন্যই হোক, সেখানে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় আর তা থেকে ইনফেকশন হয়।
যেহেতু পিল-অফ মাস্ক এইসব দূর করে, তাই এমনিতেই ইনফেকশন কম হয়। আর পিল-অফ মাস্কে এমনিতেও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকেও। তাই সেটা আরও কার্যকরী।
ব্ল্যাকহেডস দূর করে
ত্বকে গভীরে ময়লা, ধুলো দিনের পর দিন জমতে থাকলে তা একটা সময়ে ব্ল্যাকহেডস জন্ম দেয়। তাই ত্বক খুব খারাপ হয়ে যায়।
পিল-অফ মাস্ক ব্ল্যাকহেডস দূর করে দেয় আর যেহেতু ময়লাও আর জমতে দেয় না, তাই আবার হওয়ার প্রবণতাও কমায়। সাথে হোয়াইটহেডস থাকলে সেটাও দূর করে।
পিল-অফ মাস্ক ব্যবহারের ফলে ত্বক ফিরে পায় তার প্রাণ। আশা করি এইবার আপনার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য হয়েই উঠবে এই পিল-অফ মাস্ক।
সতর্কতা
মাত্রাতিরিক্ত কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করা অস্বাস্থ্যকর। তাই পিলঅফ মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।
