ত্বক পরিচর্যার নানা ধাপের সঙ্গে যারা মোটের উপর পরিচিত, তারা হয়তো ‘পিএইচ ব্যালান্স’ শব্দবন্ধটি একাধিকবার শুনেছেন!
ত্বকের অ্যাসিড আর ক্ষারের মাপকাঠিকেই পিএইচ বলা হয়। পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখার উপরেই নির্ভর করে আপনার ত্বকের সুস্বাস্থ্য আর মসৃণতা।
আদর্শ পিএইচ ব্যালান্স হওয়া উচিত ৫.৫ এর কাছাকাছি। কোনও কারণে এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে ত্বকের নানান সমস্যা দেখা দেয়।
কাজেই যে কোনওভাবে পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করতেই হবে।
আসুন দেখে নিই, কেন পিএইচের ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয় এবং কীভাবে ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ রক্ষা করতে পারেন আপনি।
পিএইচ ভারসাম্যের অভাব কেন হয়?
নানা কারণ রয়েছে। পরিবেশের ধুলোময়লা, রোদজনিত ক্ষতি, সুষম খাওয়াদাওয়ার অভাব, স্কিনকেয়ার প্রডাক্টের উপাদান।
এমনকী যে পানিতে মুখ ধুচ্ছেন সেই পানিও আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।
পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখার পিছনে হরমোনেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। পিরিয়ড চলাকালীন, গর্ভাবস্থায় সে জন্য বিশেষ সাবধান হওয়া দরকার।
কারণ এই সময়গুলোয় হরমোনের বিপুল উত্থানপতন দেখা দেয় যা পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।
পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি কেন?
ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স নষ্ট হয়ে গেলে তার অবধারিত প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর। ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়, ব্রণ বেরোয়, ত্বক প্রচণ্ড শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয়ে যায়।
ত্বক সুস্থ আর মসৃণ রাখতে তাই পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখা খুব দরকার। ত্বকের পিএইচ মাত্রা যত ঠিকঠাক থাকবে, ত্বকও তত সুস্থ আর ঝকঝকে থাকবে।
কীভাবে পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে?
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ধরে রাখতে জীবনশৈলীতে কিছু পরিবর্তন আনুন। সানস্ক্রিন মাখার অভ্যেস করে নিন।
আর হ্যাঁ, যতবার মুখ ধোবেন, ঠিক ততবার টোনার ব্যবহার করুন। শাকসবজি আর ফল খাওয়ার উপরে জোর দিন। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকবে, মুখ হয়ে উঠবে ঝকঝকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।