আমাদের ত্বকের সারফেসে শ্বাস নেওয়ার জন্য ছোটো ছোটো কিছু ছিদ্র থাকে।
তাকেই ইংরেজিতে ‘পোরস’ বলা হয়। বাংলায় যাকে বলে রোমকূপ।
সাধারণভাবে এগুলি চোখে পড়েনা। যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাদের পোরস বাইরে থেকে দেখা যায়।
ডায়েটের ভুলে সমস্যা বাড়ে। ত্বক আরও বেশি সিবাম তৈরি করে তখন।
পোর ক্রমশ বড় হয়। বাড়তি সিবাম আর ধুলোময়লা জমে।
তৈরি হয় ব্ল্যাকহেডস। বাড়ে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যাও।
এভাবে বেশিদিন চললে খুব শিগগির আপনার ত্বক আলগা হতে আরম্ভ করবে।
বয়সের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়বে। তাই আজ থেকেই সতর্ক হোন।
ত্বক যত টানটান থাকবে, তত ছোটো হবে সারফেসের ছিদ্রের আকার।
সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে অতিরিক্ত ভাজাভুজি জাতীয় খাবার।
ফল খান বেশি করে, জল খান। পেট পরিষ্কার রাখুন।
তাহলে ঘরোয়া সমাধান যথাযথভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে।
এবার জেনে নিন, এই সমস্যায় কোন কোন সমাধান কাজে দিতে পারে।

অ্যালোভেরা জেল
সকাল আর সন্ধেবেলা তাজা অ্যালোভেরা জ্যুস মাসাজ করুন মুখে।
তারপর তা লাগিয়ে রেখে দিন মিনিট দশেক।
তাতে ত্বক আর্দ্র থাকার পাশাপাশি পোরসের আকারও ছোটো থাকবে।
যখন মাস্ক জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, তখন সরে যাবে সব ময়লার পরত।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
সমান পরিমাণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আর ফিল্টার করা জলের মিশ্রণ তুলোয় করে লাগিয়ে নিন মুখে।
তারপর স্বাভাবিকভাবে শুকোতে দিন।
এটি নিয়মিত টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের পোরস ক্রমশ ছোটো হতে আরম্ভ করবে।

ডিমের সাদা অংশের মাস্ক
ডিমের সাদা অংশ, ওটমিলের গুঁড়ো, আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন।
তারপর তা মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট দশেক।
শুকিয়ে গেলে মাস্ক তুলে নিন চক্রাকারে হাত ঘুরিয়ে।
তারপর লাগান ময়েশ্চরাইজার।
ক্রমশ ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে।

বেসন, হলুদ আর দইয়ের প্যাক
সবটা মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন।
কিছুদিনের মধ্যে পোরস ছোটো হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের হারানো জেল্লাও ফিরে আসবে।

কলার খোসা
কলা খেয়ে নিয়েই খোসাটা ফেলে দেবেন না ডাস্টবিনে।
তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মুখে ঘষুন আলতো হাতে।
তারপর জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন এবং ক্রিম লাগান।
একদিন বাদ দিয়ে দিয়ে এই পদ্ধতি ট্রাই করলে ত্বকের সমস্যা কমবে।
ব্রণ হবে না, ছোটো হবে পোরস।