Search
Close this search box.

পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

প্রায়ই এখন বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও মুষলধারে তো কখনও থেমে থেমে।

সঙ্গে রয়েছে গরমের আনাগোনাও।

বন্যা আর জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে অনেক স্থানে।

সেইসঙ্গে পানিবাহিত রোগের প্রকোপও বেড়ে গেছে। কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে এই সময় আক্রান্ত হচ্ছে ছোট বড় অনেকেই।

তাই থাকতে হবে সচেতন।

বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন:

এই সময় যতটা সম্ভব বাইরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন।

গরমের কারণে অনেকেই রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া পানীয়, আখের শরবত, শসা, আনারস, লেবুর শরবতসহ নানা কিছু খেয়ে থাকে।

আর এতেই বেড়ে যায় পানিবাহিত রোগের সম্ভাবনা।

কারণ বাইরের খোলা খাবার তৈরি এবং ধোয়ার কাজে যে পানি ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশ বিশুদ্ধ নয়, তার ওপর আবার অপরিচ্ছন্ন।

ফলে এসব খাবার খেলে সহজেই ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিসের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে।

তাই শিশুদের তো নয়ই, বড়দেরও এ সময় বাইরের খোলা খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।

বন্যার পানি ব্যবহারে সতর্কতা:

বন্যাকবলিত স্থানগুলোতে বন্যা কিংবা জলাশয়ের পানি বিশুদ্ধ না করে খাওয়া, থালাবাসন ধোয়া, কাপড় কাচা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করলে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগবালাই হতে পারে।

তাই এসব পানি অবশ্যই ফুটিয়ে কিংবা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করতে হবে।

এক্ষেত্রে জলাশয়ের পানি ১০ মিনিট ফুটিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে এর বেশিরভাগ জীবাণু মরে যায়।

পানি ফোটানোর পর ঠাণ্ডা করে কিছুক্ষণ রেখে দিলে দৃশ্যমান জীবাণুগুলো নিচের তলানিতে পড়ে।

তলানি ফেলে দিয়ে ওপরের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

গরম খাবার:

বর্ষা মৌসুমে পানিবাহিত রোগ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন অনেকেই।

এই মৌসুমকে টাইফয়েড মৌসুমও বলা যেতে পারে। টাইফয়েড থেকে রক্ষা পেতে গরম খাবার বেশ কাজে দিবে।

কারণ তাপে খাবারের অনেক জীবাণু ধ্বংস হয়।

তাই এ সময় যে কোনো খাবারই গরম গরম পরিবেশ করুন। সেই সঙ্গে খেতে হবে বিশুদ্ধ পানি, গরম স্যুপসহ অন্যান্য তরল খাবারও।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন:

ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে এ সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা খুব জরুরি।

খাওয়ার আগে যেমন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, ঠিক তেমনি খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের সময়ও হাত ধুতে হবে।

পানি ও খাবার রাখার পাত্রগুলোকেও রাখতে হবে পরিষ্কার। খাওয়ার পরে এঁটো থালাবাসন দীর্ঘ সময় ফেলে না রেখে দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন।

অন্যথায় মাছি আর তেলাপোকার মাধ্যমে জীবাণুর অনুপ্রবেশ হবে সেসবেও, যা থেকে আপনিও অসুস্থ হতে পারেন।

তাই রান্নার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। হাতের নখ কেটে ছোট রাখুন।

কাঁচা সবজি ও ফলমূল জীবাণুমুক্ত করুন:

শসা, গাজর, ফলসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজি ও ফলমূল খাওয়ার আগে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

এক্ষেত্রে সরাসরি কলের পানি দিয়ে না ধুয়ে ফুটানো পানি দিয়ে কাঁচা খাওয়ার সবজি ও ফলমূল ধুয়ে নিন।