আমিষ (প্রোটিন) ভালো না নিরামিষ এই নিয়ে বিতর্কের কোনো শেষ নেই।
কেউ কেউ মনে করেন আমিষ খাবার আমাদের শরীরের জন্য জরুরি।
আবার কেউ কেউ মনে করেন শুধু নিরামিষ খাবার খেলেই আমাদের সুস্থ্য থাকার জন্য শরীরের জরুরি চাহিদাগুলি পূরণ করা সম্ভব।
এই বিতর্কে না গিয়ে আমরা দেখে নেই আমিষ বা ননভেজ খাবার আমাদের জন্য কেন জরুরি।
আমিষ বলতে বোঝায় মাছ, ডিম, এবং মাংস। মাংস নানা রকম আছে যেমন চিকেন, মাটন, পর্ক, বিফ, ল্যাম্ব ইত্যাদি।
আমিষ খাবার সাধারণত প্রোটিন, নিউট্রিশনস, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইবার, গুড ফ্যাট ইত্যাদির ভান্ডার।
ছোট শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং হাড় শক্ত করার জন্য আমিষ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আমাদের দৈহিক বিকাশ এবং শারীরিক ক্রিয়া গুলিকে স্বাভাবিক রাখতে আমিষ খাবার অত্যন্ত জরুরি।
ভালো দৃষ্টি শক্তি, দাঁত, হাড়, ত্বক চুল এবং স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখতে এই জাতীয় খাদ্য নিয়মিত খাওয়া জরুরি।
আমিষ আমাদের রোগ জীবাণু প্রতিরোধ করার ক্ষমতা প্রদান করে শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে।
আসুন দেখেনি কিছু আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা
মাছ
মাছ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি খাদ্য।
এটি আমাদের শরীরে উচ্চ মাত্রায় নিউট্রিশনস, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদান করে।
আসুন দেখে নি মাছ কেন জরুরি শরীরে জন্য।
মাছে বর্তমান ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা ৩ ও দি এইচ এ আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত মাত্রায় জরুরি।
এই কারণে গর্ভবতী মহিলাদের বেশি করে মাছ খাওয়া উচিত।
এতে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হয়। এছাড়া নিয়মিত মাছ খেলে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
মাছ আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সক্রিয় রাখে ফলত আলজাইমার হওয়ার সম্ভাবনাকে কম করে।
মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি বর্তমান।
এছাড়া জরুরি নিউট্রিশনস বর্তমান যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
মাছে বর্তমান ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাছ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
নিয়মিত মাছ খেলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন নামক রোগের কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে হয়ে থাকে।
এর ফলে দৃষ্টি শক্তি দুর্বল হয়ে যায়, এমনকি অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আমাদের সম্পূর্ণ দৈহিক বিকাশের জন্য মাছ অত্যন্ত জরুরি। তাই আজকাল চিকিৎসকেরা মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডিম
নেচার্স মাল্টিভিটামিন নামেও ডিম পরিচিত। এতে আমাদের দৈহিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম উপাদান বর্তমান।
ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন ই এছাড়া সেলেনিউম্ এবং সমস্ত রকমের জরুরি নিউট্রিশনস যেমন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ বর্তমান।
ফলত ডিম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত মাত্রায় জরুরি। আমাদের মস্তিকের বিকাশ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
আমাদের হাড়কে শক্ত করে, শরীরে গুড কোলেস্টরল এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্র জনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম করে, এছাড়া ডিমে বর্তমান লুটেইন, জিক্সান্থিন আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ফলত ডিম আমাদের শরীরেকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
মাংস
মাংস আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে।
এছাড়া জরুরি ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি ১২, বি ৩, বি ৬ বতর্মান।
আমাদের শরীরের জন্য জরুরি নিউট্রিশনস যেমন সেলেনিউম্, জিঙ্ক, আয়রন বর্তমান।
এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ডি এইচ ই , ই পি এ বর্তমান।
যা আমাদের মস্তিকের বিকাশ এবং আমাদের শরীরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।
এতে বর্তমান কার্নোসিন আমাদের রক্তকে পরিষ্কার করে, এবং ফ্রি রেডিক্যাল ও যে কোনো রকম ইনফেকশন থেকে আমাদের কোষগুলিকে রক্ষা করে।
এছাড়া এতে বর্তমান আয়রন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কে স্বাভাবিক রাখে।
আমিষ খাবারগুলি আমাদের দৈহিক বিকাশ এবং মস্তিকের বিকাশের সব রকম চাহিদা গুলি খুব সহজেই পূরণ করে, আমাদের পরিপূর্ণ বিকাশকে ত্বরান্বিত করে।