Search
Close this search box.

দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক স্কিন কেয়ার রুটিন

অনেক সময়ে ছোট ছোট টিপস খুবই কার্যকর হয়।

ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু টিপস পেতে অবশ্যই এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

১. দৈনিক ত্বকের যত্ন টিপস

আপনার ত্বককে সর্বদা উজ্জ্বল ও সতেজ রাখার জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা উচিত-

ক্লিনজিং

দিনে দু’বার নিয়মিত ক্লিনজার ব্যবহার করলে ত্বক সর্বদা সতেজ থাকে।

তারজন্য স্নানের সময়ে তুলোয় করে এক ফোঁটা ক্লিনজার নিয়ে মুখের ওপর ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

এতে করে ত্বকের ওপর থেকে ময়লার পরত উঠে যায়, যা আসলে পিম্পলের কারণ।

এইভাবে সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বক ক্লিনজিং করা গুরুত্বপূর্ণ।

টোনিং

টোনার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ক্লিনজার ত্বকের রোমকূপগুলি খুলে দেয় এবং টোনার সেই রোমকূপ বন্ধ করে দেয়।

যার ফলে ত্বক যেকোনও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে।

পাশাপাশি টোনার মুখের টি-জোনের প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য রক্ষা করে।

এর জন্য তুলোতে করে সামান্য একটু টোনার নিন।

সারা মুখে আলতো করে চাপ দিয়ে অ্যাপ্লাই করুন।

দিনে দুবার করে ক্লিনজিং-এর পর টোনিং জরুরী।

ময়েশ্চারাইজিং

একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এর নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক দূষণের খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচায়।

কিছু ময়েশ্চারাইজারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে।

যা ত্বকের ওপর একটা পরত তৈরি করে যা ত্বককে যাবতীয় দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে।

প্রতিদিনের যত্নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল ময়েশ্চারাইজিং।

সানস্ক্রিন

এসপিএফ ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন লোশন ত্বকের জন্য খুব ভালো।

এটি কেবল সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকেই ত্বককে রক্ষা করে না।

ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকেও রক্ষা করে।

সুতরাং, একটি ভালো ডে-ক্রিম অবশ্যই প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিত। 

নাইট ক্রিম

কেবল দিনের বেলাই নয়, রাতেও ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।

অতএব ঘুমোনোর আগে একটি ভালো কোম্পানির নাইট ক্রিম অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত।

নাইট ক্রিম কেবল ত্বকের আর্দ্রতাই দূর করে না।

বরং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

২. সাপ্তাহিক ত্বকের যত্নের টিপস

সপ্তাহের একটা দিনে একটু সময় বের করুন, সেদিন কোনও কাজ করবেন না।

এইদিন প্রতিদিনের চেয়ে নিজের ওপর একটু বেশি ফোকাস করুন। এইভাবে-

স্ক্রাবিং

একটি ভালো কোম্পানির স্ক্রাব নিন এবং এটি আপনার মুখ, কপাল, নাক, থুতনি, দুই গাল এবং গলায় স্ক্রাবটি হালকা হাতে ১০ মিনিটের জন্য মাসাজ করুন।

তবে এর আগে ভালো করে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

এর ফলে আপনার ত্বকের মৃত কোষ এবং ময়লা পুরোপুরি ভাবে পরিষ্কার হবে।

নাক, কপাল এবং গালে স্ক্রাব করলে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস সম্পূর্ণ নির্মূল হবে।

এই মাসাজটি সারা মুখে নীচ থেকে ওপরে ক্লক-ওয়াইজ এবং অ্যান্টি ক্লক-ওয়াইজ করুন।

এই ম্যাসাজের পরে মুখে সতেজতা অনুভূত হবে।

ম্যাসাজ

স্ক্রাবটি পরিষ্কার করে নিয়ে এক ভালো ক্রিম দিয়ে মুখে মাসাজ করুন।

এই ম্যাসাজ মুখের ত্বকে নতুন জীবন এবং সতেজতা এনে দেয় এবং এতে হারানো আর্দ্রতাও ফিরে আসে।

এতে ত্বক তুলোর মতো নরম হয়ে যায়, তবে এতে ত্বকের শিথিলতা দূর হয়ে ত্বক টানটান অনুভূত হয়।

এজন্য কমপক্ষে পাঁচমিনিট ম্যাসাজ করুন।

টোনিং

এরপর একটু টোনার অ্যাপ্লাই করে ত্বককে নতুন জীবন দান করুন।

ময়েশ্চারাইজিং

শেষ পর্যায়ে যদি চান তাহলে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে আরও খানিকটা সতেজতা অনুভব করতে পারেন।

৩. মাসিক ত্বকের যত্নের টিপস

মাসে অন্তত একবার করে হাত এবং পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত।

এজন্য একটি ভালো কোম্পানির বডি শ্যাম্পু দিয়ে ম্যানিকিওর এবং পেডিকিওর করে নিন।

আপনার যদি পার্লারে যাওয়ার সময় না থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসে এই কাজটি করতে পারেন।

নখ থেকে নেলপলিশ তুলে ফেলে ঘরে ক্রিম দিয়ে মাসাজ করুন।

নখ শেপ করুন এবং পরের মাসের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন।

বিশেষ যত্ন

কখনও কখনও একবার একটি ভালো পার্লার থেকে বডি পলিশও করাতে পারেন।

এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয় এবং ত্বক উজ্জল হতে শুরু করে।

তাই এই দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং মাসিক ত্বকের যত্নের পরামর্শগুলি মেনে চলুন এবং সর্বদা স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর থাকুন।