Search
Close this search box.

ত্বকের যত্নে হাসুন প্রাণ খুলে

বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলে দুশ্চিন্তা করছেন? নানান ঘরোয়া টিপস, অ্যান্টি-এজিং ক্রিম দিয়ে চেষ্টা করছেন মুখে বয়সের আঁকিবুকিগুলোকে রুখে দেওয়ার?

বয়সের ছাপ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারে নানাধরনের অ্যান্টি-এজিং ক্রিম আর লোশন পাওয়া যায়।

রয়েছে বিশেষ কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের সুবিধে যার সফল প্রয়োগে বলিরেখা বা ত্বকের ঢিলেভাব অনেকটাই প্রতিহত করা যায়।

কিন্তু মুশকিল হলো, এসব ট্রিটমেন্টের অধিকাংশই বেশ খরচসাপেক্ষ, তাই ইচ্ছে থাকলেও ধারাবাহিকভাবে করিয়ে ওঠা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।

ফলে একটা দুশ্চিন্তা আর মনমরাভাব থেকেই যায় যা অবশ্যম্ভাবীভাবেই ছাপ ফেলে মুখে।

কিন্তু আর নয়! এবার যাবতীয় দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে মন খুলে হাসুন! কারণ আপনার হাসির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার চিরযৌবনের রহস্য!

শুধু হাসিমুখ আর মনের আনন্দ ধরে রাখতে পারলেই বয়সের বিরুদ্ধে অসম লড়াইটা অর্ধেক জিতে যাবেন আপনি।

শুধু হাসি দিয়ে বয়সকে বাগ মানানো কীভাবে সম্ভব?

ব্যাখ্যাটা খুব সহজ!

মুখ হলো আপনার মনের আয়না। আপনার মনের মধ্যে যা যা চলে, সবই ছায়া ফেলে মুখে।

মনে দুঃখ বা উদ্বেগ থাকলে তা যেমন মুখ দেখে বোঝা যায়, তেমনি ভিতর থেকে উজ্জ্বল, হাসিখুশি থাকলে তারও প্রভাব পড়ে মুখে।

আরও একটা কারণ রয়েছে যা থেকে স্পষ্টই বুঝতে পারবেন হাসি কীভাবে আপনাকে তরুণ থাকতে সাহায্য করে।

হাসির সময় আমাদের মুখের টিস্যু আর পেশিগুলো বেঁকেচুরে যায়।

যা অনেকটা ফেসিয়াল ব্যায়ামের মতো কাজ করে।

মুখের টিস্যু আর পেশি এর ফলে টানটান, সতেজ থাকে যা মুখের ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখে। ফলে মুখে বলিরেখার প্রকোপ অনেক কম পড়ে।

তারুণ্য ধরে রাখতে অবচেতন মনেরও কিছু ভূমিকা রয়েছে। অনেক সময় আমরা অসচেতনভাবেই হাসির সঙ্গে তারুণ্যের একটা সংযোগসূত্র খুঁজে পাই।

যারা বেশি হাসিখুশি তাদের দেখতেও কমবয়সী বলে মনে হয়। এই তথ্যটি বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত।

একই ব্যক্তির গম্ভীর মুখাবয়বের চেয়ে তার হাসিখুশি মুখ তরুণতর দেখায়।

একটি গবেষণায় একদল মানুষকে বেছে নেওয়া হয় এবং তাদের একই ব্যক্তির একটি গম্ভীর ও একটি হাসিখুশি ছবি দেখানো হয়। প্রতি ক্ষেত্রেই তারা গম্ভীর ব্যক্তির বয়স বেশি বলে সনাক্ত করেন।

কাজেই আর গম্ভীর থাকবেন না, প্রাণ খুলে হাসুন! একদম নিখরচায় বয়স কমিয়ে ফেলার এমন দারুণ উপায় আর পাবেন না কিন্তু!