Search
Close this search box.

ত্বকে র‍্যাশ প্রতিরোধে করণীয়

মুখে হঠাৎই একদিন একগাদা ছোট ছোট লালচে দানা বেরোতে দেখলেন।

তার পর বুঝতে পারলেন যে অতি বিরক্তিকর সেই দানাগুলি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।

বরং ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে নাকের উপরে, গালের দু’পাশে, কপালে?

এমন সমস্যায় আমাদের মধ্যে অনেককেই ভুগতে হয়।

আসলে মুখে র‍্যাশ বেরনোর নানা কারণ থাকতে পারে, তার চিকিৎসাও বিবিধ প্রকারের হয়।

তবে খুব সাধারণ কতগুলি কারণ অবশ্যই আছে।

সেগুলি থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে দেখতে পারেন সুরাহা হচ্ছে কিনা।

নতুন কেনা প্রসাধনীটি সম্ভবত আপনার সহ্য হচ্ছে না: 

নতুন কোনও ময়েশ্চরাইজার, সানস্ক্রিন, কাজল কিনেছেন এবং তা রোজ ব্যবহার করছেন?

তারই উপাদানে এমন একটা কিছু থাকতে পারে যা আপনার র‍্যাশ বেরনোর মূল কারণ।

যত শিগগির সম্ভব সেটির ব্যবহার বন্ধ করুন ও ফারাকটা দেখুন।

আপনার শরীরে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ হচ্ছে: 

শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে থাকার কারণেও মুখে র‍্যাশ বেরোতে পারে।

ইনফ্লামেশন কমানোর জন্য আদা, গোলমরিচ, কাঁচা হলুদ, দারচিনি আর মেথি খুব ভালো করে ফুটিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন।

তারপর একটু ঠান্ডা করে আধখানা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।

সেই সঙ্গে কিছুদিনের জন্য আমিষ খাওয়া বন্ধ রাখুন।

ছাড়তে হবে প্রসেসড ফুড, নরম পানীয়, দুধ, গ্লুটেন বা অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়াও।

খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে আসার পর র‍্যাশের চরিত্রে বদল এলে কারণটা চট করে ধরে ফেলতে পারবেন।

সুগন্ধি এড়িয়ে চলুন: 

কোনও সুগন্ধি ক্রিম, ময়েশ্চরাইজার, সাবান ব্যবহার করবেন না।

এমন কিছু বেছে নিন যা প্রাকৃতিক, কোমল ও গন্ধহীন।

সেই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখাটাও একইরকম জরুরি।

ময়েশ্চরাইজার হিসেবে কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল বেছে নিতে পারেন।

কোল্ড প্রেসড আমন্ড অয়েলও খুব ভালো হয়।

জামাকাপড় বা চুল রং করার জন্য ব্যবহৃত ডাইও কালপ্রিট হতে পারে: 

জামাকাপড় রং করার জন্য বা চুল রং করার জন্য আপনি যে ডাইটি বেছে নিচ্ছেন, তার কোনও উপাদান থেকেও র‍্যাশ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

কিছুদিনের জন্য সেগুলির ব্যবহার বন্ধ করে দেখুন কোনও লাভ হচ্ছে কিনা।

হেয়ার ডাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই একবার প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত।

খুশকি বা ওই জাতীয় কোনও ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকেও মুখে র‍্যাশ বেরোতে পারে: 

মাথায় খুশকি থাকলে বা ভুরু বা চোখের পাতায় কোনও ইনফেকশন হলেও কিন্ত র‍্যাশ বেরনোর আশঙ্কা থাকে।

কোনও ওষুধপত্র ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারকে একবার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।

কী ব্যবহার করলে আরাম মিলবে: 

অ্যালোভেরা জেল, কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল, চন্দনের প্রলেপ, নিমপাতা বাটা র‍্যাশে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

সেই সঙ্গে শুরু করুন নিয়মিত আমলকী খাওয়া।

খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি-র পরিমাণ বাড়ালে ত্বকও নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে পারবে।