চুল খুব রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? ফেটে যাচ্ছে? অথচ আপনার বাড়িতেই আছে এমন কিছু জিনিস যেগুলো জাস্ট দু থেকে তিনবার ব্যবহার করে দেখুন।
আশাকরি, আশাহত হবেন না।
ডিম
ডিম শুধু খেলেই হবে না, খাবার সাথে সাথে চুলেও লাগাতে হবে।
কারণ ডিম চুল যেমন নরম রাখতে সাহায্য করে, তেমনি চুল পড়া রোধেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
প্রথমবার ব্যবহার থেকেই অল্প অল্প করে ফল পাবেন। এক থেকে দুটো ডিমের সাদা অংশ নিয়ে, তাতে একচামচ অলিভ তেল ও মধু ভালো করে মেশান।
এই মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালো করে লাগান। আধঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়াও একই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন ডিম, দই ও আমণ্ড তেলের মিশ্রণ।
নারিকেল তেল
আমরা নানারকম স্পেশাল তেল ব্যবহার করি চুল ভালো রাখার জন্য।
কিন্তু হাতের কাছেই আছে খুব সহজ একটি উপাদান যার মত ভালো আর কিছু হতে পারে না।
সেটি হলো খাঁটি নারিকেল তেল, নারিকেল তেল হালকা গরম করে সেটি স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে পুরো চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করুন।
একটা তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন আধঘণ্টা থেকে একঘণ্টা।
তারপর শ্যাম্পু করতেও পারেন বা সুধু পানি দিয়েও ধুতে পারেন।
সপ্তাহে দুবার করলে ভালো ফল পাবেন।
দই
যদি খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষ চুলকে নরম কোমল বানাতে চান তাহলে ব্যবহার করুন দই।
কিচ্ছু না জাস্ট একটু দই নিয়ে চুলে লাগান। আর কিছু লাগবে না।
৩০ থেকে ৪০ মিনিট রাখুন। তারপর মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে দুবার করুন।
মধু
মধু ত্বককে সুন্দর করার সাথে চুলকেও সুন্দর রাখতেও বেশ উপকারি।
দু চামচ মধু এক কাপ পানিতে ভালো করে মেশান।
তারপর এই মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালো করে স্প্রে করুন। স্ক্যাল্পে স্প্রে করুন। এরপর স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।
১৫ মিনিটের বেশি রাখবেন না। পানি খুব বেশি গরম যেন না হয়, এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে। এতে আছে ৭৫টি উপকারী উপাদান চুলের জন্য।
যা চুলের কেরাটিন প্রোটিনের বিশেষ যত্ন নেয়। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মেশান।
১০ থেকে ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল হবে নরম কোমল।
অ্যাভোকাডো
ড্রাই চুলের সমস্যায় অ্যাভোকাডো খুব ভালো কাজ দেয়। কয়েকটা পাকা অ্যাভোকাডো ব্লেন্ড করে নিন।
এরপর এতে মেশান দু চামচ অলিভ তেল। ভালো করে মিশ্রণ বানিয়ে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট।
মিশ্রণটি লাগাবার পর সাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। তারপর মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মনে রাখবেন চুলকে নরম ও কোমল বানাতে মাইলড শ্যাম্পুই ভালো।
এই কয়েকটা পরামর্শ নিয়মিত মেনে চলুন। মাস খানেক পর দেখবেন চুল কেমন হয়ে উঠেছে কোমল আর সুন্দর!