তারুণ্যে ভরা, বলিরেখাহীন মুখের জন্য কত কাঠখড়ই না পোড়াতে হয়! মুখ নিয়মিত পরিষ্কার করা, টোনার লাগানো, ময়েশ্চারাইজার মেখে ত্বক আর্দ্র রাখা, অ্যান্টি-এজিং সিরাম দিয়ে ত্বকের রূপলাবণ্য ধরে রাখা, কাজ কি একটা?
অথচ এত যত্নআত্তি সত্ত্বেও কোন অলক্ষে ঠিক থাবা বসায় বয়সের দাগ! চোখের নিচের পাতলা চামড়ায় সূক্ষ্ম রেখা, ঠোঁটের কোনায় ফিনফিনে দাগ, অকালেই বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে মুখে!
ফলে মনটা খারাপ হয়ে যায় আর হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু জানেন কি? এই যে আপনার মুখে অকালে বয়সের দাগ পড়ছে তার জন্য আপনার নিজের ভূমিকা কিছু কম নয়?
আসলে ত্বক পরিচর্যার সময় বা সাজগোজের সময় আমরা বেশিরভাগ সময়েই এমন কিছু ভুল করি, যার ফলে ত্বকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়!
ফলে ঝকঝকে নিখুঁত ত্বকের বদলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলিরেখার ছাপ। জানেন কি? আপনার কোন কোন অভ্যেসের ফলে মুখে অকালে বয়সের দাগ পড়তে শুরু করে?
পড়তে থাকুন!
![](http://glamozen.com/storage/2023/12/Lip-liner-58.jpg)
আইলাইনার পরার সময়
চোখের কোনায় টানা আইলাইনারের রেখা যাতে নিখুঁত হয়, তার জন্য আমরা অনেকেই লাইনার পরার সময় হাত দিয়ে চোখটা টেনে ধরে রাখি।
এ অভ্যেস যদি আপনারও থেকে থাকে, তাহলে এখনই বন্ধ করুন! চোখের চারপাশের চামড়া অত্যন্ত পাতলা আর নরম।
এই অংশে বারবার টান পড়লে চোখের কোল ফুলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়!
তাছাড়া চোখের নিচে পাতলা উপশিরা, রক্তজালকগুলোও বেশি টান পড়লে ছিঁড়ে যেতে পারে।
এসবেরই অবধারিত ফল হল বলিরেখা।
![](http://glamozen.com/storage/2023/12/Lip-liner-59.jpg)
এসপিএফ না মাখা
আকাশ যত মেঘলাই হোক, সানস্ক্রিন বাদ দেবেন না একেবারে! আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি মেঘের আড়াল থেকেও আপনার ত্বকের একইরকম ক্ষতি করে, যা থেকে মুখে কালো দাগ, বলিরেখা পড়তে পারে।
এমনকী সারা দিন বাড়িতে থাকলেও রোদ ক্ষতি করতে পারে ত্বকের। তাই কখনোই সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া চলবে না। অন্তত ৫০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন।
![](http://glamozen.com/wp-content/uploads/2021/07/conditaio-11.jpg)
ঘষে ঘষে মেকআপ তোলা
দিনের শেষে সমস্ত মেকআপ তুলে ত্বক পরিষ্কার করাটা যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি হলো বেশি ঘষাঘষি না করা। মেকআপ তোলার সময় খুব ধীরে ধীরে কোমলভাবে হাত চালান যাতে ত্বকে রুক্ষভাবে টান না পড়ে।
![](http://glamozen.com/wp-content/uploads/2021/06/conditaio-58.jpg)
উপুড় হয়ে ঘুমোনো
মুখে সূক্ষ্ম রেখা বা বলিরেখা পড়তে না দেওয়ার একটা সহজ উপায় হল ঘুমের সময় শোওয়ার ধরনটা পালটে ফেলা। উপুড় হয়ে শোবেন না, চিত হয়ে ঘুমোন।
উপুড় হয়ে শুলে মুখের ত্বকে বালিশের ঘষা লাগে, মুখ কুঁচকে যায়। তবে আপনার অভ্যেস যদি উপুড় হয়ে শোওয়া হয়, তবে তা রাতারাতি পালটানো সম্ভব নয়।
সে ক্ষেত্রে বালিশে সুতির বদলে সিল্কের ওয়াড় পরিয়ে নিলে ঘষা কম লাগবে।
![](http://glamozen.com/storage/2023/12/Lip-liner-60.jpg)
কম্পিউটারের খুব কাছে মুখ নিয়ে কাজ করা
সারাক্ষণ খুব কাছ থেকে কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ কুঁচকে যাওয়া স্বাভাবিক।
কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে অন্তত দেড় থেকে দু’ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
তাতে আপনার ত্বক যেমন ভালো থাকবে, তেমনি শান্তি পাবে চোখও। গলায় বলিরেখা প্রতিরোধ করতে কম্পিউটারে কাজ করার সময় ঘাড় সোজা রাখুন।