করোনা ভাইরাস আক্রমণ শানিয়েছে যবে থেকে-
তবে থেকেই আমরা নিজেদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আর সেই প্রসঙ্গেই বার বার উঠে আসছে চায়ের কথাও।
গ্রীন টি বা সাদা চায়ে প্রক্রিয়াকরণ সবচেয়ে কম।
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট মজুত থাকে।
কমায় ফ্রি-র্যাডিকালসের বাড়বাড়ন্ত।
আপনিও ভিতর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
লাল চাতেও নানা উপকার মিলবে।
চা এর যত গুণ
কালো চায়ে থাকে পলিফেনলের নানা গ্রুপ।
তার মধ্যেই পড়ে ক্যাটেচিনস-
থিয়াফ্লাভিন, থিয়ারুবিজিনস।
এসবের প্রভাবে ভালো থাকে আপনার হার্টের স্বাস্থ্য।
কমে এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ।
পলিফেনল ভালো রাখে আপনার পেটে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার স্বাস্থ্য।
ফলে শরীর রোগের আক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে পারে সহজে।
চা বানানোর নিয়ম-কানুন
তবে চা খাওয়ার সময়েও কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
প্রথমেই চেষ্টা করুন ভালো মানের চা পাতা কিনতে।
সারা দিন কাপের পর কাপ চা খেলেই কিন্তু হবে না।
দিনে বড়োজোর চার থেকে পাঁচ কাপ চা খেতে পারেন।
চা খেতে হবে চিনি ছাড়া, বা তা একান্ত সম্ভব না হলে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন।
তবে পরিমাণ যেন দিনে দু’চামচের বেশি না হয়।
চায়ের সঙ্গে যদি বিস্কিট বা ভাজাভুজি খেয়ে ফেলেন একগাদা, তা হলেও হবে না।
অল্প মুড়ি না ছোলাভাজা দিয়ে চা খেলে অবশ্য সমস্যা নেই।
যদি দেখেন যে চা খাওয়ার পর পরই মুখটা টক হয়ে যাচ্ছে, তা হলে চিনি একেবারে বাদ দিন।
দুধ দেওয়া চা খেলেও কিন্তু অম্বলের সমস্যা হতে পারে।
চা খালি পেটে খেলে কি সমস্যা হয়?
এ প্রশ্নটা আছে অনেকের মনেই।
সকালবেলা উঠেই অনেকে চা খেতে অভ্যস্ত।
কোনও শারীরিক অসুবিধে না হলে নিজের রুটিন চালিয়ে যান।
কিন্তু ইদানীং বলা হচ্ছে, ঘুম থেকে উঠে প্রথমে জল খাওয়া উচিত বেশি করে।
তাতে সামান্য লেবুর রস বা নুন মেশানো যায়।
এই অভ্যেস থাকলে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তারপর খান সামান্য বাদাম বা ছোলা ভেজানো অথবা কোনও ফল।
তাতে মেটাবলিজম কাজ করতে আরম্ভ করে সুষ্ঠুভাবে।
তারপর আসবে চায়ের পালা।
ব্রেকফাস্টের সঙ্গে চা খেলে কোনও অসুবিধে হয় না সাধারণত।
একবার ট্রাই করে দেখুন মাসখানেকের জন্য।
না পোষালে ফের নিজের রুটিনে ফিরে যাবেন।