Search
Close this search box.

কৈশোরে ত্বকের যেমন যত্ন দরকার

আমাদের ত্বকে সমস্যা তৈরি হওয়ার মূল কারণ ত্বকের জমানো ধুলা-ময়লা। 

জেনে অবাক হবেন, প্রায় ৯০ শতাংশ টিনএজার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যাও বেশি।

বিড়ম্বনার মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

অনেকের ত্বক জন্মগতভাবেই তৈলাক্ত।

কিন্তু সমাধানের পথও রয়েছে।

এজন্য ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই।

দরকার নিয়মিত পরিচর্যা।

আর খানিকটা সচেতনতা।

তৈলাক্ত ত্বকও হয়ে উঠবে মসৃণ।

কোমল আর সমস্যামুক্ত।

আসুন, তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা সম্পর্কে আমরা জেনে নেই।

সাধারণ অভ্যাস

খ ছোঁয়ার আগে আমাদের অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

যাতে হাতে লুকিয়ে থাকা ব্যাক্টেরিয়া আর ময়লা আমাদের ত্বক পর্যন্ত যেতে না পারে।

ব্রণ শুকাতে আমরা ব্রণের ওপর ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারি।

এগুলো রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেললেই ব্রণের দাগ অনেকটুকুই কমে যাবে।

একটি ভালো ফেস-মাস্ক ব্যাবহারেও ভালো ফল পেতে পারি আমরা।

মুলতানি মাটি, বেসন আর মধু দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ১৫ মিনিট ত্বকে মেখে রাখুন।

এরপর হালকা গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে নিন।

মাথার চুল যেন মুখের ওপর এসে না পরে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

কারণ আমাদের চুলে অনেক ময়লা, ধুলো-বালি জমে।

আর এসব থেকে জীবাণু ত্বকের সংস্পর্শে এসে আমাদের ত্বকে নানা সমস্যার সৃস্টি করে।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই নখ দিয়ে ব্রণ খোটার বাজে অভ্যাস রয়েছে।

আমাদের বুঝতে হবে এটা কোনো সমাধান না।

উল্টো এতে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হবে।

এর ফলে ব্রণ লাল হয়ে যাবে।

এমনকি তা ফেটে গিয়ে মুখে দাগের সৃস্টি করবে।

তাই ক্ষত জায়গায় কোন ওষুধ লাগানোর সময় সাবধানতা বজায় রাখতে হবে।

ব্রণ না যাওয়া পর্যন্ত মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো।

রেগুলার ফেসওয়াশ

দিনে অন্তত দুই বার তেল-মুক্ত ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

আর সপ্তাহে দুই দিন আমরা স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারি।

তবে ত্বকে স্ক্রাব লাগানোর সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তা খুব জোরে না হয়।

এতে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

নিয়মিত কিছুক্ষণের যত্নের মাধ্যমেই ত্বকের বাড়তি তৈলাক্তভাব দূর করে কোমল, মসৃণ, উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

ব্রণমুক্ত ত্বকে টিনএজাররা আরও সুন্দর, আকর্ষণীয় আর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে।