Search
Close this search box.

দাঁতের শিরশির ভাব দূর করার উপায়

আপনি কি খুব ঠান্ডা, গরম বা টক খাবার থেকে দূরে থাকার প্রাণপন চেষ্টা করেন?

বিশেষ করে আর পাঁচজনের সামনে এই ধরনের কোনও খাবার মুখে তুলতেই ইচ্ছে করে না।

কারণ দাঁত এমন শিরশির করে ওঠে যে নাক-মুখ কুঁচকে যায় বিচ্ছিরিভাবে?

ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম ‘টুথ সেনসিটিভিটি’।

চিকিৎসা করালে সেরে যায়।

একেবারে নির্মূল না হলেও অন্ততপক্ষে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সহজেই।

নির্দিষ্ট কিছু টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে খুব মারাত্মক অসুবিধেও এড়ানো যায়।

কিন্তু তার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টোটকাও পরখ করে দেখুন।

তাহলে এই গ্রীষ্মে নিশ্চিন্তে আইসক্রিম বা কাঁচা আমের আচারে কামড় বসাতে পারবেন।

লবণ পানিতে কুলকুচো: 

প্রত্যেকদিন মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে দাঁতে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে যায় অনেক সময়ে।

তাই সকালে ও রাতে দাঁত মাজার পর নুন জলে ভালো করে কুলকুচো করে নিন।

এক গেলাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চাচামচ নুন মিশিয়ে নিলেই দ্রবণটি তৈরি হয়ে যাবে।

মধু ও ঈষদুষ্ণ জলের দ্রবণ: 

এক গেলাস হালকা গরম জলে এক চাচামচ মধু মিশিয়ে কুলকুচি করলেও মোটামুটি একইরকম কাজ হবে।

তবে এটা রাতে শোওয়ার আগে না করলেই ভালো করবেন।

গ্রীন টি মাউথওয়াশ: 

গ্রীন টি তৈরি করে নিন বিধিমতো।

তারপর সেই চা ঠান্ডা করে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন দিনে দু’বার।

মুখের ভিতর ঝরঝরে তাজা হয়ে উঠবে।

ক্যাপসাইসিন জেল: 

মরিচের ঝালের পরিমাণ নির্ধারণ করে ক্যাপসাইসিন নাম একটি যৌগ।

যে কোনও প্রদাহ কমাতে এটি দারুণ কার্যকর। ক্যাপসাইসিন জেল বা মাউথওয়াশ স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন।

প্রথমদিকে একটু জ্বলতে পারে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে।

ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট: 

তুলোয় করে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট নিয়ে মাড়িতে লাগিয়ে রাখুন খানিকক্ষণ।

তারপর কুলকুচি করে নিন ঈষদুষ্ণ জলে। কিছুদিন ব্যবহার করলেই ফল পাবেন।