ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং। ত্বক সুস্থ রাখার প্রাথমিক তিনটি ধাপ।
কিন্তু এদের মধ্যে ত্বক পরিষ্কার অর্থাৎ ক্লিনজিং এবং ময়েশ্চারাইজিংয়ের নিয়মদুটি বেশিরভাগ মেয়ে মেনে চললেও অনেকেই বাদ দিয়ে যান মাঝের ধাপটি অর্থাৎ টোনিং।
আর ওখানেই একটা বড় ভুল করে ফেলেন তারা। কারণ টোনারের মতো আপাত-সাধারণ তরলটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ, মসৃণ ও টানটান ত্বকের চাবিকাঠি।
ত্বকের গভীর থেকে তেলময়লা বের করে আনা ছাড়াও রোমছিদ্রগুলো সংকুচিত করে ব্রণর উৎপাত কমাতে পারে টোনারের নিয়মিত ব্যবহার।
তাই যাদের ত্বক তেলতেলে বা যাঁদের মুখে খুব ব্রণ বেরোয়, তাঁদের টোনার ব্যবহার করা খুব দরকার।
শুধু ফেসওয়াশ ব্যবহার করে মুখের গভীরে এটে বসে থাকা ধুলোময়লা সম্পূর্ণ তোলা সম্ভব নয়, আর এই অসম্ভব কাজটাই করে টোনার।
মুখ ধোওয়ার পর বাড়তি পরিষ্কার করা এবং একই সঙ্গে ত্বককে তেলমুক্ত আর টানটান রাখার জন্য প্রতিদিন প্রতিবার মুখ ধোওয়ার পর টোনার অবশ্যই লাগানো উচিত।
শুধু মুখ বাড়তি পরিষ্কার করাই নয়, আরও একগুচ্ছ কারণে টোনার ব্যবহার করুন।

ত্বকের রোমছিদ্র সংকুচিত করতে
আপনি যখন মুখে ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন, তখন মাসাজ করার ফলে ত্বকের রোমছিদ্রগুলো ধীরে ধীরে খুলে যায়।
মুখ ধোওয়ার পর টোনার ব্যবহার না করলে তা খোলা অবস্থাতেই থেকে যায় এবং সেই খোলা রোমছিদ্রে নতুন করে ধুলোময়লা ঢোকার আশঙ্কা থেকে যায়।
টোনারে তুলো ভিজিয়ে মুখ মুছে নিলে রোমছিদ্রের মুখ ফের সংকুচিত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ত্বক দীর্ঘসময় পরিষ্কার থাকে।

ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে
আমাদের ত্বক সাধারণভাবে অ্যাসিডিক, এবং সাধারণভাবে তার পিএইচ ব্যালান্স মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয়ের মধ্যে থাকে।
কিন্তু মুখে সাবান ব্যবহার করলে সাবানের ক্ষারজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে এসে সেই ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পিএইচ ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে তখন ত্বকের কোষগুলোকে বেশি করে কাজ করতে হয়, যার কারণে ত্বক তেলতেলে হয়ে পড়ে।
টোনার ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ ভারসাম্য দ্রুত ফিরে আসে।

ত্বকের উপর বাড়তি সুরক্ষার আস্তরণ
ত্বক পরিষ্কার করার পর কোষের মধ্যে টানটানভাবটা খানিকটা কমে যায় এবং সেই ফাঁকে ধুলোময়লা ঢুকে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
টোনার ত্বকের টানটান ভাব ফিরিয়ে আনে। তা ছাড়া কলের জলের ক্লোরিন বা অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকলে ত্বকের উপর তার প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে টোনার।

ত্বক আর্দ্র ও তরতাজা রাখতে
কিছু কিছু টোনার ত্বক পরিষ্কার ও টানটান করা ছাড়াও ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে।
তাছাড়া মুখে টোনারে ভেজানো তুলো বুলিয়ে নিলে ত্বক সঙ্গে সঙ্গে চনমনে হয়ে ওঠে।

ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যায়
টোনারের কম্পোজিশনে সাধারণত গ্লাইকোলিক বা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে।
ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যা কমাতে পারে এই উপাদান।
ফলে ত্বক অনেক বেশি মসৃণ আর কোমল দেখায়।