ভালোবাসার রঙে রঙিন হতে কে না চায়। তাই ভালোবাসা দিবসে পড়ুন উজ্জল রঙের পোশাক।
ভালোবাসার মানুষটির পছন্দ অনুযায়ী সাজতে পারেন। চুল সাজাতে পারেন পছন্দের ফুলে।
হাতে জড়িয়ে রাখতে পারেন বেলি, রজনীগন্ধা অথবা বকুল ফুলের মালা খোঁপাতে গোলাপ, বেলি যে কোন ফুল।
অন্য কোন কৃএিম সুগন্ধি ছাড়া ও প্রকৃতির সুগন্ধে সুবাসিত হয়ে উঠুন।
ভরিয়ে তুলুন নিজের ও প্রিয়জনের দেহ মন ফুলের সুবাসে। মোহিত করুন আপনার ভালবাসার মানুষকে।
ভালোবাসা দিবস সবার জন্য। নেই কোন ভেদাভেদ, প্রৌড়ত্বে এসেও আপনি ভালোবাসা দিবসে যৌবনের সাজ পোশাকে সাজতে পারেন রঙিন হয়ে।
রাঙিয়ে তুলতে পারেন আপনার এবং আপনার ভালবাসার মানুষের হৃদয়। তাতে কোন বাধা নেই।
ভ্যালেন্টাইনের বিশেষ লুক যেমন হতে পারে
প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে পোশাকের রং কী সেটা এবং আপনি সকালে বের হচ্ছেন, না সন্ধ্যায়।
সকালে বের হলে খুব হালকা বেস মেকআপ নিয়ে স্কিন কালার বা ন্যুড কালার কিংবা অন্য যেকোনো হালকা কালারের লিপস্টিক ব্যবহার করে আপনার মেকআপ শেষ করতে পারেন।
সারাবছর যেমন তেমন ভাবে সাজলেও এই বিশেষ দিনগুলিতে চাই বিশেষ লুক। এমন ভাবে নিজেকে সাজাতে হবে যাতে ভ্যালেন্টাইনের চোখ আটকে থাকে।
ভ্যালেন্টাইনের মেকআপ
প্রথমেই যেটা করবেন সেটা হলো ক্লিনজিং, তারপর টোনিং, সবশেষে ময়েশ্চারাইজিং।
এরপর ত্বকের টোন অনুযায়ী কনসিলার দিয়ে চোখের দাগ ঢেকে নিন। দিনের বেলা বেরোলে মুখে বিবি বা সিসি ক্রিমও লাগাতে পারেন।
এরপর স্কিন টোন অনুযায়ী মুখের বেস মেকআপ করে নিন। তারপর মুখে ফেস পাউডার লাগিয়ে নিন। চাইলে গ্লিটার সিমারও লাগাতে পারেন।
এবার হলো চোখের পালা। চোখ হল সাজের সবথেকে প্রধান অঙ্গ। চোখকে বিভিন্ন ভাবে সাজাতে পারেন। স্মোকি আই এখন ফ্যাশন ট্রেন্ড। আপনি অনায়ায়েই ট্রাই করতে পারেন।
ভ্যালেন্টাইন ডে-র এই স্পেশ্যাল দিনে নজর কাড়তে নীল, সবুজ, সিলভার, গোল্ডেন গ্লিটার শ্যাডোও অনায়াসেই লাগাতে পারেন। এতে অনেক বেশি গর্জিয়াস লাগবে।
চোখের আইলাইনার লাগানোর ক্ষেত্রে একটু সর্তকতা অবলম্বন করা কিন্তু দরকার। এখন বিভিন্ন স্টাইলের আইলাইনার পরার চল রয়েছে।
মুখের সঙ্গে মানানসই করে লাগিয়ে নিন। চাইলে আইল্যাশও লাগাতে পারেন। মাস্কারা লাগাতে ভুলবেন না যেন।
ঠোঁটের ক্ষেত্রে এই দিনগুলিতে একটু সাহসী হতেই হবে । লাল লিপস্টিক সবথেকে ভাল অপশন। চাইলে গাঢ় অন্য রঙের লিপস্টিক পরতে পারেন।
ম্যাট লিপস্টিকও ফ্যাশনে ইন। সাজের সঙ্গে মানানসই করে ম্যাট লিপস্টিকও পরতে পারেন যা আপনার লুককে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে।
ভ্যালেন্টাইনের পোশাক
এ তো গেলো মেকআপের কথা। কিন্তু পোশাক। ভ্যালেন্টাইন ডের এই সময় একটু অন্য ধরনের পোশাকই যেন সকলের থেকে আপনাকে আলাদা করে তুলতে পারে।
এখন লং, শর্ট সবধরনের ফ্রক ফ্যাশনে ইন। উজ্জ্বল রঙের যে কোনও একটি অনায়াসে ট্রাই করতে পারেন।
ফিউশন ও ট্র্যাডিশন লুক আনতে চাইলে একটু অন্য কিছু ট্রাই করতে পারেন। স্পেশ্যাল দিনে জিন্সের সঙ্গে ডেনিমের জ্যাকেটও ট্রাই করতে পারেন। ক্রপ টপও ফ্যাশনে ইন।
চলতি হাওয়ায় তাল মিলিয়ে কেউ আবার সেজে উঠেছে ‘থ্রি পার্ট’ শাড়িতে। পিছিয়ে থাকবে কেন ছেলেরা!
কেউ–বা পাঞ্জাবি–জিন্স এ সেযে উঠবে। কেউ কেউ গায়ে ব্লেজার, জ্যাকেট ঝুলিয়ে বেড়াবে পাঞ্জাবির ওপর।
এক দিনের জন্য যেন সবাই বড় হয়ে উঠবে। কোনও বাধানিষেধের বালাই নেই।
ভ্যালেন্টাইনের লুক আনতে পোশাকের সঙ্গে মানানসই চুল বাধতে ভুলবেন না। চুল বাধার উপরেই মুখের সৌন্দর্য নির্ভর করে।
প্রত্যেকের মধ্যেই আলাদা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বজায় রেখেই সাজা উচিত।
অনেকে আবার সকালের শাড়ি ছেড়ে গাউন, পালাজো, ক্রপ–টপ, জ্যাকেট, শ্রাগে তৈরি হয়ে বিকেলে বেরিয়ে পড়েছে।
কেউ–বা রাতটা বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবে পার্টিতে। কেউ কেউ বেরিয়ে পড়বে বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে। কেউ-বা ব্যস্ত থাকবে বিশেষ মানুষটার সঙ্গে আড্ডা, বেড়ানো, রেস্তোরঁায় দেদার খাওয়াদাওয়া।
সাজসজ্জা মূলত নিজের রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ। নিজের ও অপরের চোখে ভালোলাগার এক অদ্ভুত সমন্বয়।
খেয়াল রাখুন
ভালোবাসার রং হওয়া চাই আয়নার মতো, যেখানে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। যদিও পোশাকের রং বা বিশ্বভালোবাসা দিবসের রং মূলত লাল।
প্রিয় মানুষের পছন্দের যেকোনো রঙই হতে পারে ভালোবাসার রঙ। সকল সম্পর্কের ভালোবাসা প্রকাশের জন্যই হয়তো এই দিবস।
এই বিশেষ দিনের সাজের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিন ভালোবাসার মানুষের ও নিজের পছন্দকে।