যে কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সবার আগে তাদেরই আক্রমণ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল।
তাই এই ভয়ানক আতঙ্কের পরিস্থিতিতে এমন খাবার খান যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত চিনি বা ফ্যাট জাতীয় সুখাদ্য থেকে দূরে থাকলেই ভালো করবেন, কারণ তা ইমিউন সিস্টেমকে কোনওভাবে সাহায্য করে না।
আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিঙ্ক থেকে দূরে থাকতে পারলেও ভালো হয়।
তবে ভালো ফ্যাট খাওয়া জরুরি – দেশি ঘি, কোল্ড প্রেসড তেল, বিশেষ করে নারকেল তেল আপনাকে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়।
মাছ-মাংস, বিশেষ করে রেড মিট না খেতে পারলেও কোনও অসুবিধে নেই। ছানা, পনির, দই, ডালজাতীয় জিনিসপত্র বেশি করে খান।
সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ শাকসবজি আর ফলও।
প্রতিদিন কিছুটা কাঁচা খাবার রাখা উচিত খাদ্যতালিকায়।
তবে তা অতি অবশ্যই খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে আগে।
প্রোটিন খান বেশি করে, তবে প্রাণিজ প্রোটিনের চেয়ে গুরুত্ব দিন উদ্ভিজ প্রোটিনের উপর।
ছাতু, ছোলা, রাজমা খেতে পারেন ডাক্তারের নিষেধ না থাকলে। সেই সঙ্গে জল খান বেশি করে।
রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে যেহেতু ঘরের ভিতরেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তাই অ্যাকটিভ থাকার উপর খুব বেশি জোর দিতে হবে।
ব্যায়াম করুন ঘরের মধ্যেই, ট্রেডমিল থাকলে তো সোনায় সোহাগা! খুব বেশি প্রসেসড ফুড খাবেন না।
বাড়িতে বাদাম, নানা ধরনের বীজ ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখুন। এগুলি তাড়াতাড়ি খারাপ হয় না এবং অনেকদিন চলে।
কোনও অচলাবস্থা তৈরি হলেও ডাল, ভাত, আটা, ঘি, তেল, কিছু সংগ্রহযোগ্য ফল ও সবজি দিয়ে যাতে কয়েকটা দিন চালানো যায় সে ব্যবস্থা করে রাখুন অবশ্যই।