সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ব্লগ

Egestas eu molestie lacus, rhoncus, gravida aliquet sociis vulputate faucibus tristique odio

রেটিনাল শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়?

Table of Contents

ভিটামিন ‘এ’ হল খাবারের মধ্যে থাকা জৈব অনু। ভিটামিন ‘এ’ একটি স্নেহ দ্রাব্য বা পদার্থ।

একটি হালকা হলুদ বর্ণের প্রাথমিক স্নেহ পদার্থ হলো ভিটামিন ‘এ’।

ভিটামিন ‘এ’ র রাসায়নিক নাম ‘রেটিনাল’। মানবদেহে ভিটামিন ‘এ’ জারিত হয়ে রেটিনোয়িক অ্যাসিড তৈরি করে।

খাদ্যের একটি খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন ‘এ’।

ভিটামিন ‘এ’ র উৎস

ভিটামিন ‘এ’ মূলত ক্যারোটিন থেকে তৈরি হয়। এর তৈরির উৎস দুটি।

১.উদ্ভিদজাত ২. প্রাণীজাত

উদ্ভিদজাত উৎস হল হলুদ ও সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফলমূল, সাধারণত যে শাকসবজি বা ফলের রঙ যত গাঢ় হয় তাতে ভিটামিন ‘এ’ র পরিমান তত বেশি হয়।

এছাড়া গাজর, কুমড়ো, পাকা পেঁপে, ঘি, মাখন ও অন্যান্য সব্জি, ফল ইত্যাদিতে ভিটামিন ‘এ’ থাকে।

প্রাণীজাত উৎস হল মূলত মাংসাশী প্রাণী ( হাঙর, কড, হ্যলিবাট ইত্যাদি মাছের যকৃৎ)।

মাছের তেল বা তেলযুক্ত মাছ। মাংস, ডিম ইত্যাদি খাবার থেকে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়।

ভিটামিন ‘এ’ র পরিমান

শরীরে ভিটামিন ‘এ’ প্রয়োজন অনুযায়ী থাকা দরকার। একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলার শরীরে ভিটামিন ‘এ’ দিনে কম করে ৭০০ মাইক্রোগ্রাম থাকা উচিত।

পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের শরীরে দিনে কম করে ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘এ’ থাকা দরকার।

মহিলাদের খাবারে ঊর্ধ্বসীমা দৈনিক সর্বাধিক ৩০০০ মাইক্রোগ্রাম ও পুরুষদেরও ৩০০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘এ’ থাকা দরকার।

ভিটামিন ‘এ’ র কাজ

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন ‘এ’। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

শারীরিক বিকাশে ভিটামিন ‘এ’ র ভূমিকা আছে। বাহ্যিক আবরণের কোষ, ত্বক, দাঁত, ও অস্থির গঠনের জন্য ভিটামিন ‘এ’ জরুরী।

ভিটামিন ‘এ’ নানা রকমের সংক্রামক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে।

শরীরে প্রাপ্ত লৌহের স্বাভাবিক ব্যবহারের ঘাটতি হয় না ভিটামিন ‘এ’ শরীরে থাকলে। ফলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়না।

শরীর সুস্থ্য থাকে।ভিটামিন ‘এ’ বার্ধক্য রোধ করতে সহায়ক।

ত্বকের শুষ্কতা বা বলিরেখা ভিটামিন ‘এ’ র দ্বারা থাকে না। ত্বক সতেজ রাখে।

টিউমার ও ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে ভিটামিন ‘এ’। লিভার ভালো রাখে।

ভিটামিন ‘এ’ ও শিশু

শিশুর পুষ্টির ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘এ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শিশুদের শরীরে ভিটামিন ‘এ’ র অভাব থাকলে শিশুর পুষ্টিতে ব্যঘাত ঘটে। পৃথিবীতে এখনও প্রতিবছর ৬০০০০০ শিশু ভিটামিন ‘এ’ র অভাবে অপুষ্টির শিকার।

৯ মাস থেকে ৪ বছরের শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ জনিত রোগ বেশি দেখা যায়। ভিটামিন ‘এ’ র অভাবে ক্যারটম্যালেসিয়া রোগ দেখা দেয়।

ভিটামিন ‘এ’ সঠিক মাত্রায় শিশুর শরীরের না থাকলে মেসেলস ও ডায়রিয়া জাতীয় অসুখ দেখা দেয়।

ভিটামিন ‘এ’ শিশুর শরীরের থাকলে শিশু সুস্থ্য ও সবল থাকে। সহজে রোগ হয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

চোখের দৃষ্টি ঠিক থাকে। মায়ের বুকের হলুদ দুধ, শাকসবজি, ফলমূল শিশুদের খাওয়ানো উচিত।

এছাড়া ভিটামিন ‘এ’ কম থাকলে শিশুকে পামতেল খাওয়ানো যেতে পারে।

ভিটামিন ‘এ’ র অভাবজনিত রোগ

ভিটামিন ‘এ’ শরীরে কম থাকলে যে রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটি হল ‘রাতকানা রোগ’।

এ’র অভাবে এই রোগ সাধারণত হয়ে থাকে। রাতকানা রোগ হলে রোগী দিনের বেলায় আলোতে স্বাভাবিক চলাফেরা করে।

কিন্তু রাতের বেলায় দেখতে অসুবিধে হয়। অনেকে রাতকানা রোগের জন্য রাতে একেবারে দেখতে পায়না। আবার অনেকে ভুল দেখে।

ভিটামিন ‘এ’ শরীরে কম থাকলে শরীরে প্রাপ্ত লৌহের স্বাভাবিক ব্যবহারে ঘাটতি ঘটে। ফলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। যার থেকে অ্যানিমিয়া হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।

এ’র অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। কম বয়সে মুখে বলিরেখা দেখা দেয়। বার্ধক্য জনিত সমস্যা তৈরি হয়।

গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে ২১% মানুষের শরীরে টিউমার বা স্কিন ক্যান্সার হয় ভিটামিন ‘এ’ র অভাবে। মূলত এইডস ও স্তন ক্যান্সার হয়।

তাছাড়া নিশ্বাসের সমস্যা, ভ্রুনের সমস্যা, চুল পরার সমস্যা হয়ে থাকে ভিটামিন’এ’ এর অভাবে।

আমরা সাধারণত যে খাবার খেয়ে থাকি তার থেকেই ভিটামিন ‘এ’ র চাহিদা অনেকটা পূর্ণ হয়ে যায়।

বাকি ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবার খেয়ে ঘাটতি পূরণ করা হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণ করা উচিত নয়।

অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ শরীরের বিকাশে খারাপ প্রভাব ফেলে। মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়।

লোহিত রক্ত কনিকা উৎপাদনে ব্যঘাত ঘটে। মাসিক রজঃ স্রাব বন্ধ হয়ে যায়। লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক খসখসে হয়ে যায়।

মানব দেহে ভিটামিন ‘এ’ র প্রয়োজন আছে। তবে তা শরীরের দরকারের মাত্রা অনুযায়ী।

শিশু, মহিলা, পুরুষ সকলের শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ র যোগান থাকা উচিত।

পছন্দের ক্যাটাগরিতে পড়ুন

  • All
  • Uncategorized
  • ইনস্ট্যান্ট স্টাইলিং
  • করোনায় করণীয়
  • চুলের যত্ন
  • চোখের মেকআপ
  • চোখের যত্ন
  • ট্রেন্ডিং
  • ঠোঁটের মেকআপ
  • ঠোঁটের যত্ন
  • ত্বকের যত্ন
  • নাগরিক কোলাহলে নারী
  • নারী তুমি অনুপ্রেরণা
  • নারীকথন
  • নারীর মনের কথা
  • নারীস্বাস্থ্য
  • নেইল আর্ট
  • পুরুষকথন
  • ফিটনেস
  • ফ্যাশন
  • বডি মেকআপ
  • বিউটি টিপস
  • বেসিক টিপস
  • বেসিক মেকআপ
  • মা ও শিশুর যত্ন
  • মেকআপ
  • মেকআপ টিউটোরিয়াল
  • মেন্টাল টিপস
  • রিভিউ
  • রেসিপি
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • হেয়ার স্টাইল
  • হেলথ টিপস
স্বাস্থ্য বার্তা

এই বর্ষায় শিশুকে সুস্থ রাখতে যা করবেন

কখনও কখনও একপশলা বৃষ্টির দেখা মিলছে ঠিকই, কিন্তু গ্রীষ্মের দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরম এখনও কাটেনি। আর এমন আবহাওয়ায় শিশুরা আক্রান্ত
স্বাস্থ্য বার্তা

এজমা থেকে বাঁচার উপায়

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনো সময়েই এজমা সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত।  তবে কিছু প্রাকৃতি উপাদান
স্বাস্থ্য বার্তা

পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

প্রায়ই এখন বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও মুষলধারে তো কখনও থেমে থেমে। সঙ্গে রয়েছে গরমের আনাগোনাও। বন্যা আর জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে অনেক
Share the Post:

Related Posts

এজমা থেকে বাঁচার উপায়

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনো সময়েই এজমা সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত।  তবে কিছু প্রাকৃতি উপাদান

Read More

Join Our Newsletter