মোমের মতো মসৃণ, পলিশড হাত-পায়ের মালকিন হতে ইচ্ছে করে সবারই!
কিন্তু সে রাস্তায় বাধা হল হাত-পায়ের রোম আর তাই ওয়্যাক্সিং ছাড়া আর উপায় কী!
একটু ব্যথা লাগে ঠিকই, কিন্তু অবাঞ্ছিত রোম দূর করতে ওয়্যাক্সিংয়ের চেয়ে ভালো পথ আর নেই!
একদম গোড়া থেকে রোম উঠে গিয়ে হাত-পা মাখনের মতো নরম আর মসৃণ দেখায়!
তা ছাড়া একবার ওয়্যাক্সিং করালে তা থাকেও বেশ কিছুদিন।
এসব কারণেই রেজর বা হেয়ার রিমুভিং ক্রিমের বদলে ওয়্যাক্সিংই প্রিয় হয়ে উঠেছে বেশিরভাগ মেয়ের।
কিন্তু এ তো গেল ওয়্যাক্সিংয়ের সুবিধের দিকগুলোর কথা!
ওয়্যাক্সিংয়ের যে মারাত্মক কিছু সাইড ইফেক্টও রয়েছে, তা জানেন কি?
চোখ বুলিয়ে নিন যাতে পরেরবার ওয়্যাক্সিং করানোর আগে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন!
ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে যায়
আমাদের ত্বক অনেকটা ইলাস্টিকের মতো।
অর্থাৎ তা টানলে প্রসারিত হয়, ছেড়ে দিলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
ওয়্যাক্সিংয়ের সময় ত্বকে টান পড়ে।
দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত ত্বকে টান পড়তে পড়তে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বা ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ফলে ত্বক কুঁচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়।
ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, জ্বালা করতে পারে
ওয়্যাক্সিংয়ে যেহেতু টান দিয়ে রোম তোলা হয়, অনেকেরই ওয়্যাক্সিংয়ের পর ত্বক লাল হয়ে যায়, চুলকোয়, জ্বালা করে।
এই সমস্যা কমাতে ওয়্যাক্সিংয়ের আগে পরে খাঁটি সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
ওয়্যাক্সিংয়ের পর ২৪ ঘণ্টা গরম জলে স্নান করবেন না।
এমনকি, রোদে বেরোতে হলেও হাত-পা পোশাকে ঢেকে রাখুন।
ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে
ওয়্যাক্সিংয়ের সময় ত্বকে টান পড়ে, ত্বক আহত হয়।
এর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ত্বকে পিগমেন্ট তৈরির পরিমাণ বেড়ে যায়।
আর হাত-পায়ের নানান জায়গায় কালো ছোপ পড়তে শুরু করে।
যাঁরা আন্ডার-আর্মে ওয়্যাক্সিং করেন, তাঁদের অনেকেরই জায়গাটায় কালচে ছোপ পড়ে যায়।
এর কারণই হল ত্বকের অতিরিক্ত পিগমেন্টেশন।
এই সমস্যা এড়াতে ওয়্যাক্সিংয়ের পর ত্বকে গ্লিসারিন, ভিটামিন বি-৩, সানফ্লাওয়ার সিড অয়েল রয়েছে এমন ক্রিম বা লোশন মেখে নিন।
ইনগ্রোন হেয়ার
একটানা দীর্ঘদিন ওয়্যাক্সিংয়ের ফলে আপনার ত্বকে ইনগ্রোন হেয়ারের উপদ্রব বাড়তে পারে।
হাত-পায়ের নানা অংশে কিছু রোম কালো হয়ে ভিতর দিকে ঢুকে থাকে, এগুলোই ইনগ্রোন হেয়ার।
ইনগ্রোন হেয়ার বেশি থাকলে ত্বক অমসৃণ খসখসে দেখায়।
এই ঝামেলা এড়াতে খুব ভালো করে হাত-পায়ের ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন।
ইনগ্রোন হেয়ার বাইরে বেরিয়ে আসবে, ত্বকও মসৃণ হয়ে যাবে।
সংক্রমণের ভয়
যে পার্লারে ওয়্যাক্সিং করাচ্ছেন, সেখানকার পরিবেশ আর সরঞ্জাম যদি পরিচ্ছন্ন না হয়, তাহলে আপনার ত্বক সহজেই সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারে।
তাই ভালো, বিশ্বাসভাজন পার্লার থেকেই ওয়্যাক্সিং করান, ওয়্যাক্সিংয়ের পরে ত্বকের ঠিকমতো যত্ন নিন।
ওয়্যাক্স করা ত্বক অনাবৃত রাখবেন না।
ওয়্যাক্সিংয়ের পর ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
তাই এমন ক্রিম বা লোশন মাখুন যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্যই তৈরি।