Search
Close this search box.

১০ মিনিটে বিয়েবাড়ির সাজ

বিয়ের দাওয়াত। কিন্তু ঘরের বা অফিসের কাজ শেষ করতেই দিন পার হয়ে যায়। তখন সাজতে বসার এনার্জিও থাকে না।

অনেক সময় হাতে সময়ও থাকে না সাজার। তাই মাত্র ১০ মিনিটে বিয়ের বাড়ির সাজের কথা মাথায় রেখে আপনাদের জন্যে আজকের এই আয়োজন।

কিন্তু মাত্র ১০ মিনিটে বিয়েবাড়ির মেকআপ হয় নাকি? কিন্তু ঐ অল্প সময়ের মধ্যেই যে করতে হবে!

এইটুকু সময়ে বিয়েবাড়ির জন্য পারফেক্ট সাজটা হবে কী হবে হবে না, সেই চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পড়তে থাকুন।

মুখের সমস্ত দাগ ও চোখের কালি ঢাকবে কনসিলার

বিয়েবাড়ি মানেই রাতের জমকালো মেকআপ। তাই মুখে কোনোরকম দাগ ভেসে থাকা যাবে না। আর যদি তা থাকেও তবে সেটা কনসিলার ব্যবহার করে ঢেকে দিতে হবে।

কারণ মুখে দাগ, কিংবা চোখের নিচে কালি দেখা গেলে পার্ফেক্ট লুকটা আসে না। তাই আগে লাগিয়ে নিন কনসিলার।

ঘন ক্রিম বেস বা স্টিক কনসিলার কিনে রাখুন। কনসিলার দাগের ওপর, চোখের তলায় ডট দিয়ে লাগিয়ে নিন।আঙ্গুল দিয়ে হালকা চেপে চেপে বসিয়ে দিন।

তারপর অপেক্ষা করুন কিছুক্ষণ। ব্যাস তারপর আস্তে আস্তে ব্লেন্ড করে দিন। কনসিলার কিন্তু ঘষে লাগাবেন না। হাতের আঙ্গুল দিয়ে প্রেস করে করে, আস্তে আস্তে ব্লেন্ড করবেন।

মেকআপ অনেকক্ষণ ধরে রাখতে প্রাইমার

মুখে যদি দাগ থাকে তাহলে কনসিলার ব্যবহার করুন। কিন্তু যদি তেমন কোন দাগ, বা চোখের তলায় কালি না থাকে তাহলে কনসিলার এর ব্যবহার না করলেও চলে।

লাগিয়ে নিন মেকআপ প্রাইমার। কেন প্রাইমার? কারণ বিয়েবাড়িতে অনেকটা সময় মেকআপকে ঠিকমতো মুখে সেট রাখতে হবে।

আর প্রাইমার সেই কাজটাই করে। আপনার মেকআপ অনেকক্ষণ পর্যন্ত একইরকম থাকবে, নষ্ট হবে না।

আর এটা ফাউন্ডেশনকে সঠিক ভাবে মুখের সব জায়গায় ব্লেন্ড হতেও সাহায্য করে।

ফাউন্ডেশন

এরপর লাগান ফাউন্ডেশন। মুখের সমস্ত দিকে সুন্দর করে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন।

তারপর চটপট দুই মিনিটে কমপ্যাক্ট পাউডারটা বুলিয়ে নিন। তবে এটা না লাগালেও চলে, যেহেতু ব্লাশন লাগাবেন।

তাই ১০ মিনিটে মেকআপকে কমপ্লিট করতে, এটা স্কিপ করতেই পারেন।

ফাউন্ডেশন কেনার সময় একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, যে আপনার স্কিন টোনের সাথে কোনটা বেশি ভালো যাচ্ছে।

যেটা আপনার স্কিন টোনের সাথে যাচ্ছে সেটাই কিনবেন। যে কোনো ভালো দোকানেই টেস্টার দিয়ে দেয়।

তাই আগে একটু স্কিনে লাগিয়ে দেখে নেবেন, কোনটা ভালো যাচ্ছে।সেটাই কিনবেন।

চোখকে সাজান

চলে যান চোখে। আই মেকআপ শুরুর আগে, চট করে এক মিনিটে আইব্রো পেনসিল দিয়ে আইব্রোতে বুলিয়ে নিন।

এরপর মোটা করে ওপরের পাতায় উইঞ্জড স্টাইলে পরে নিন, বা এমনি মোটা করে পরে নিন।ব্যাস তাতেই চোখ সুন্দর লাগবে।আর নীচের পাতায় কাজল না পরলেও হবে।

কিন্তু যদি একটুখানি সময় বেঁচে থাকে তাহলে নীচের পাতায় জাস্ট হালকা করে একবার কাজলটা বুলিয়ে নিন।

ঝটপট আইশ্যাডো 

এবার আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন পোশাকের সাথে ম্যাচ করে। সময় কম থাকলে এক কাজ করুন, একটা ব্রোঞ্জ আইশ্যাডো কিনে রাখুন।

জাস্ট ওটা দিয়েই হাইলাইট করে নিন। ব্রোঞ্জের ওপর বিভিন্ন শেড পেয়ে যাবেন। ব্যাস চোখ রেডি। আর এক মিনিট এক্সট্রা থাকলে, মাস্কারা বুলিয়ে নিতে পারেন একবার।

কিন্তু সময় খুব কম থাকলে না লাগালেও চলবে। আইশ্যাডোর এই রঙটাই সবার নজর কাড়বে।

গাল দুটোকে হাইলাইট করুন

বিয়েবাড়ির মেকআপ বলে কথা, একটু জমকালো তো হতেই হবে। তাই আই মেকআপ হয়ে যাবার পর লাগিয়ে নিন ব্লাশন।

ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে নিন। না হলে কিনে রাখুন ইলুমিনেশন পাউডার। বিয়েবাড়ির জন্য এটা পারফেক্ট।

শেষে লিপস্টিক

হাতের কাছে রাখুন লিপবাম। লিপস্টিকের আগে হালকা করে লিপবাম লাগিয়ে নিন। না হলে ঠোঁট ফেটে চৌচির হয়ে যাবে।

আর বিয়েবাড়িতে বার বার লিপস্টিকের ওপর লিপবাম ঘষবেন নাকি? তাহলে লিপস্টিকটাই তো উঠে যাবে। তাই আগে লিপবাম।

এবার লিপলাইনার দিয়ে চটপট আউটলাইনটা এঁকে নিন। তারপর লিপস্টিক দিয়ে ভরিয়ে দিন ঠোঁট। গাঢ় লাল রঙ বা রোজ রেড কিন্তু বিয়ে বাড়িতে দারুণ লাগবে।

তাহলে শিখে গেলেন তো কিভাবে ১০ মিনিটে মেকআপ কমপ্লিট করবেন! ব্যাস আর না ভেবে মেকআপ করতে বসে পরুন।