দেশীয় রান্না মানেই তাতে হলুদ থাকবে।
আর সেই হলুদের ছোপ হাতে লেগে ম্যানিকিওরের বারোটা বাজবে – এ দু’টি হচ্ছে স্বতঃসিদ্ধ!
কিন্তু তাই বলে যেন আবার রান্নায় হলুদ দেওয়া বন্ধ করে দেবেন না!
হলুদের কারকিউমিন নানা রোগ সারায়।
ইদানীং তো বিদেশেও তা নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
আমরা যাকে হলুদ দুধ বলে থাকি, সেটি ‘টারমারিক লাতে’ নামে ঢেলে বিকোচ্ছে পাশ্চাত্যের নামী-দামি ক্যাফেগুলো।
তাই হলুদ বাদ দেবেন না খাদ্যতালিকা থেকে।
কিন্তু তাই বলে সাধের ম্যানিকিওর নষ্ট হতেও তো দেওয়া যায় না, না? তাই চামচ দিয়ে খান।
অথবা আমাদের পরামর্শ মেনে চলুন।
দেখবেন হলুদের দাগ বিলকুল হাওয়া হয়ে গিয়েছে নখ থেকে!

নারকেল তেল
নারকেল তেল সামান্য একটু গরম করে নিন।
তার পর সেই ঈষদুষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন আঙুলে ও নখে।
দু’ মিনিট অপেক্ষার পর একটা ভেজা তুলো দিয়ে নখ মুছে নিন।
দেখবেন সব দাগ হাওয়া হয়ে গিয়েছে। আপনার ম্যানিকিওরে আঁচড়টিও লাগেনি!

বেকিং সোডা ও লেবুর রস
আধ চাচামচ বেকিং সোডার মধ্যে অর্ধেক লেবুর রস চিপে বেশ করে মিশিয়ে নিন।
তার পর এই মিশ্রণটা আঙুলে আর নখের উপর ঘষে ঘষে লাগান।
এক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে।
নখ থেকে দাগ হাওয়া হওয়ার পাশাপাশি হাত হয়ে উঠবে সুগন্ধি!
তবে এর পর অতি অবশ্যই ভালো কোনও ময়েশ্চরাইজ়ার লাগাতে ভুলবেন না যেন!

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ও জলের মিশ্রণ
এক চাচামচ ভিনেগার ও কোয়ার্টার কাপ জল মিশিয়ে নিন।
তার মধ্যে নখ ডুবিয়ে রাখুন এক মিনিটের জন্য।
যখন তুলবেন, তখন পুরোনো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে নিশ্চিতভাবেই!
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার না থাকলে কাজ হবে সাধারণ ভিনেগারেও।