Search
Close this search box.

ঘরের এবং পার্লারের ফেসিয়ালের মধ্যে পার্থক্য কী?

আজকের দ্রুতগতির জীবনে সবচেয়ে বড় অভাব সময়ের। অনেক খেটেখুটে জোটানো অবসর সময়টুকু তাই পার্লার বা স্যালোনে গিয়ে খরচ করতে চান না অনেক মেয়ে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় ফেসিয়ালটা তাই বাড়িতেই করে নিতে ভালোবাসেন তারা। তাতে একদিকে সময়ও বাঁচে অন্যদিকে টাকাপয়সারও সাশ্রয় হয়।

বাড়িতে ফেসিয়াল করার জন্য নানারকম ফেসপ্যাক দোকানে রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়, নানা প্রাকৃতিক সামগ্রী মিশিয়ে বাড়িতেও প্যাক তৈরি করে নেন অনেকে।

কিন্তু বাড়িতে করা ফেসিয়াল আর পার্লারে করা ফেসিয়ালের মধ্যে কি গুণগত পার্থক্য আছে? বাড়ির ফেসিয়াল কতদিন অন্তর করা উচিত?

এমন নানা প্রশ্ন মাথায় আসা খুব স্বাভাবিক।

তেমনই কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা।

ঘরোয়া ফেসিয়াল কতদিন পর পর করবেন?

এটা নির্ভর করছে আপনি স্ক্রাব বা মাস্কে কী কী উপাদান ব্যবহার করছেন, তার উপর।

উপাদান যদি ত্বকের পক্ষে কড়া হয় (যেমন গুঁড়ো কফি), তবে দু’ সপ্তাহে একবারের বেশি করা উচিত নয়।

উপাদান কোমল হলে সপ্তাহে দু’বারও করতে পারেন। পাশাপাশি ত্বকের অবস্থার দিকেও নজর দিতে হবে।

মুখে ব্রণের আধিক্য থাকলে আগে ব্রণ সারানোর দিকেই মনোযোগ দিন।

মুখে ব্রণ থাকলে কী ধরনের মাস্ক বা স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত?

খুব বেশি ব্রণ হলে, ব্রণ পেকে পুঁজ হয়ে গেলে দেরি না করে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ত্বক অপরিষ্কার থাকলে যেমন ব্রণ হয়, তেমনি হরমোনের ওঠাপড়ার বা বংশগত কারণেও ব্রণ বেরোতে পারে।

তাই আগে থেকে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া ভালো। অল্প স্বল্প ব্রণের সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন টি ট্রি অয়েল।

ব্রণের উপরে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণের আকার-আয়তন অনেকটাই কমে গেছে।

বাড়িতে করা ফেসিয়াল আর পার্লারের ফেসিয়ালের মধ্যে কী তফাৎ আছে?

এক কথায় উত্তর হলো, না। তবে ঘরোয়া ফেসিয়ালে সব কিছু নিজেকেই করে নিতে হবে, পার্লারে ফেসিয়াল করানোর আরামটা পাবেন না।

অন্যদিকে সুবিধা হলো যেহেতু আপনি নিজেই নিজের ফেসিয়াল করছেন, তাই একেবারে খাঁটি উপাদান দিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে পারবেন।

আপনি কোনটায় বেশি স্বচ্ছন্দ আর কতটা খরচ করতে পারবেন, তার উপরে নির্ভর করছে ফেসিয়ালটা পার্লারে করবেন, নাকি বাড়িতে।

বাড়িতে ফেসিয়াল করার সময় কী কোনও যন্ত্র ব্যবহার করা যায়?

পার্লারে ফেসিয়াল করানোর সময় নানাধরনের স্বয়ংক্রিয় ব্রাশ বা ম্যাসাজারের সাহায্য নেন বিউটিশিয়ানরা।

এসব জিনিস কিনতে পাওয়া যায়, আপনিও কিনে ফেলতে পারেন সহজেই।

তবে কেনার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার। প্রথমত, যে সব ব্রাশ কিনছেন, তার ব্রিসলস কতটা নরম সেটা অবশ্যই দেখে নেবেন।

ব্রিসলসগুলো কতটা দ্রুত গতিতে ঘুরছে সেটাও দেখতে হবে।

কারণ মুখের ত্বক অত্যন্ত নরম আর স্পর্শকাতর, ব্রিসলসের নরমভাব বা গতির সামান্য এদিক ওদিক হলেই বিশ্রীভাবে মুখ ছড়ে যেতে পারে।

তাই যন্ত্র ব্যবহার অত্যন্ত সাবধানে করবেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন।