Search
Close this search box.

চুলের যত্নে দরকারি কথন

চুলে নিয়মিত শ্যাম্পুটা ঠিকঠাক না হলে চুলের স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হয়ে পড়বে, তা নিশ্চয়ই জানেন?

প্রথমেই নিজের চুলের জন্য এমন শ্যাম্পু বাছুন যা মোটামুটি হালকা, প্রাকৃতিক।

বোতলবন্দি সব প্রডাক্টেই কিছু না কিছু কেমিক্যাল দেওয়া থাকে।

তাই এমন শ্যাম্পুর উপর ভরসা রাখুন যার মধ্যে ক্ষতিকারক কেমিক্যালের পরিমাণ কম।

তারপর বেছে নিন ভালো কন্ডিশনার।

শ্যাম্পু করার সময়েও কিছু নিয়মবিধি মাথায় রাখা উচিত।

তেল মালিশ করুন মাথায়

শ্যাম্পু করার আগে আপনার পছন্দের কোনও ভার্জিন তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন।

তেলের মধ্যে যেন মিনারেল অয়েল বা কোনও সুগন্ধি না মেশে তা দেখতে হবে।

কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা আমন্ড তেল লাগানো যায় মাথায়।

যত ভালোভাবে মালিশ করবেন, তত বাড়বে রক্ত চলাচলের হার।

গোড়া আলগা হয়ে যাওয়া চুল পড়ে যাবে, ভিতর থেকে উঠে আসবে নতুন চুল।

সেই সঙ্গে আপনার চুল নরম, কোমল থাকবে।

মাথায় খুশকি বা ড্রাই প্যাচের সমস্যা থাকলে সেটাও চলে যাবে।

শ্যাম্পু পাতলা করে নিন

যারা একদিন অন্তর বা খুব গরম পড়লে রোজ মাথা ঘষেন, তাঁরা অবশ্যই অর্ধেক জল মিশিয়ে শ্যাম্পু পাতলা করে নিন।

মাথার ক্রাউনের কাছ থেকে শ্যাম্পু লাগানো শুরু করুন, কপালের কাছ থেকে নয়। তাতে সামনের দিকের চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।

কন্ডিশনার লাগিয়ে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন

শ্যাম্পু লাগানোর পর ভালো করে কন্ডিশনার লাগান।

তারপর একটা মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন।

এতে জট ছাড়বে, চুলে কন্ডিশনার ছড়িয়ে পড়বে সমানভাবে।

তিন মিনিট অপেক্ষার পর ঠান্ডা জলে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন।

মাথার ত্বকে যেন কন্ডিশনার না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

চুল মুছুন পাতলা কোনও কাপড় দিয়ে

শ্যাম্পু করার পর পুরোনো টি শার্ট বা খুব নরম কোনও তোয়ালেতে চুলটা মুড়ে রাখুন।

খুব জোরে চুল থেকে জল ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

ভেজা চুল আঁচড়াবেন না

ভেজা চুল আঁচড়ানো বা স্টাইলিং করা, দুটোই সমান খারাপ।

অর্ধেক শুকনো না হলে চিরুনি ছোঁয়ানোর দরকারই নেই।

চেষ্টা করুন ড্রায়ার ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবেই চুল শুকনো করে নেওয়ার।