Search
Close this search box.

মেকআপ আর্টিস্ট হবার কার্যকরী পরামর্শ

বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং যোগ্যতাসম্পন্ন মেকআপ আর্টিস্টের চাহিদা রয়েছে।

মেকআপের যাবতীয় ট্রেনিং নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আপনি ঠিক কোন ধরণের কাজ করতে চান।

ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট হতে চান? ব্রাইডাল আর্টিস্ট হতে চান? সেলেব্রিটি আর্টিস্ট হতে চান? নাকি বিউটি পার্লারে কাজ করতে চান?

এখন সব জায়গাতেই কাজের সুযোগ রয়েছে।

অনেকে আবার বাড়িতে বিউটি পার্লার খুলেও কাজ করতে চান। তবে কোন পথ আপনি বাছবেন সেই বিষয়টি স্থির করা জরুরী আগে থেকেই।

যে ব্যাপারগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে

মেকআপ ট্রেন্ড সম্পর্কে সজাগ থাকুন। বর্তমানে কোন ধরণের মেকআপ ট্রেন্ডে রয়েছে, কোনও নতুন ব্র্যান্ডের মেকআপ অ্যাপ্লিকেশন টেকনিকগুলি রপ্ত করুন,

যেগুলি সাম্প্রতিককালে ব্যবহার করা হচ্ছে বা পরীক্ষিত হচ্ছে।

এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিন। আপনি যে মেকআপ আর্টিস্ট তা সকলকে জানানোটা খুব দরকার।

নিজের কাজ বেশি বেশি করে শেয়ার করুন আর পেশাদারিত্ব অবশ্যই বজায় রাখুন।

ট্রেন্ডি মেকআপ ট্রিক্স শিখুন। ফাউন্ডেশন টেস্ট করার সময় হাতে নয় গলায় অ্যাপ্লাই করুন। এই ধরণের মেকআপ ট্রিকস আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে

প্রশিক্ষণ শেষ মানেই আপনার শেখা শেষ নয়। মনে রাখবেন এটি একটি প্রোগ্রেসিভ জব। নিত্য-নতুন স্টাইল অ্যান্ড ট্রেন্ড প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে।

আপনি এই পেশায় যত বেশি দিন অতিবাহিত করবেন ততই নিখুঁত হবে আপনার মেকআপ অ্যাপ্লিকেশন।

তবে কোথাও সন্দেহ থাকলে বা মনে প্রশ্ন জাগলে অবশ্যই প্রশ্ন করুন আপনার থেকে অভিজ্ঞ কাউকে, যিনি কয়েক বছর ধরে এই পেশায় রয়েছেন।

কোথায় কোন বিউটি ইভেন্ট হচ্ছে খেয়াল রাখুন, আর পারলে তার সবকটায় যোগদান করুন। ইভেন্ট বা ওয়ার্কশপ থেকে অনেককিছু শেখার থাকে।

কাজ পেতে এই পেশায় কনট্যাক্ট তৈরি করাটা খুব জরুরী। আপনি যদি ফ্রিল্যান্স মেকআপ আর্টিস্ট হন, তাহলে এই পেশার মানুষদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ তৈরি হলে আপনার কাজ পেতে খুব সুবিধা হবে।

মনে রাখবেন একা একা কিন্তু কোনোকিছুই সম্ভব নয়। আপনার ক্লায়েন্টকে রিল্যাক্স ফিল করানো আপনার দায়িত্ব।

সে যাতে আপনাকে খোলাখুলি তার চাহিদার কথা জানাতে পারে, যে সে কী ধরণের লুক চান, তার জন্য কিন্তু আপনাকে অবশ্যই বন্ধুপূর্ণ আচরণ করতে হবে।

হতে পারে কাউকে আপনার পছন্দ নয়, কিন্তু সেই অভিব্যক্তি চেহারায় ফুটে উঠলে মুশকিল।

নিজের একটা মেকআপ পোর্টফোলিও বানান। এতে আপনার কাজের একটা বিস্তৃত অংশ অন্তর্ভুক্ত করুন, যাতে প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্টের তালিকায় প্রথম দিকে আপনার নাম উঠে আসে।

যে কাজগুলো কখনোই করা যাবে না

নিম্নমানের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে না। আজকাল বাজারে ফার্স্ট কপি মেকআপ প্রোডাক্টের রমরমা।

কিন্তু প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট হতে গেলে মেকআপ প্রোডাক্টে কম্প্রোমাইজ করলে হবে না।

হতে পারে প্রথমেই আপনি হাই রেঞ্জের মেকআপ প্রোডাক্ট কিনতে পারছেন না, তাই বলে নিম্নমানের পণ্যও ব্যবহার করা ঠিক নয়।

কারণ একবার ক্লায়েন্টের কাছে বদনাম হলে কিন্তু তা আপনার ইমেজের পক্ষে খুব খারাপ।

মেকআপ আর্টিস্টরা ন্যাচরাল দিনের আলোয় মেকআপ করা খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু রাতের বেলায় আজকাল এলইডি লাইটের খুব চাহিদা রয়েছে।

মনে রাখবেন ওভারহেড আলো কিন্তু মেকআপের জন্য খারাপ। আলো যেন সর্বদা ক্লায়েন্টের মুখে ফোকাস করে সেটা খেয়াল রাখবেন।

মনে রাখবেন আপনাকে কিন্তু মেকআপ করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতে পারে। এর জন্য ফ্ল্যাট স্লিপার সবচেয়ে ভালো।

বাজারে আসা নতুন ব্র্যান্ডের মেকআপ কেনার আগে তা নিয়ে আগে ভালো করে রিসার্চ করুন। সম্পূর্ণটা না জেনেই আগে অনেক টাকা দিয়ে কিনে ফেলবেন না।

নিজের কাজের প্রতি অসৎ হবে না। এই পেশায় কোনও শর্টকাট হয় না। ধৈর্য্য নিয়ে নিজের কাজ করে যান। পরিশ্রমের ফল কিন্তু লাভজনক হয়।