Search
Close this search box.

মুখের পোরস ঢাকার মেকআপ টেকনিক

আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়?

আপনি টেকনিক্যালি এই সমস্ত পোরস ছোট করতে পারবেন না, তাই তা আড়াল করার জন্য বা বড় ছিদ্রগুলি ছোট করার জন্য আপনার কিছু মেকআপ ট্রিকস জানা উচিত।

আর আপনার মুখের পোরগুলি যদি বড় বড় হয় তাহলে মেকআপের সাহায্যে তা কীভাবে ম্যানেজ করবেন তার জন্য অবশ্যই এই লেখার শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

১. শুরুটা হোক সিরাম দিয়ে

একটা নির্দিষ্ট মেকআপ রুটিনে প্রবেশ করার আগে আপনার উচিত আপনার কমপ্লেকশনের যত্ন নেওয়া।

এর জন্য এমন একটি সিরাম বেছে নিন যেটি আপনার ত্বরকের ডার্ক স্পট, দাগ-ছোপ সব চলে যায়।

ভালো মানের সিরাম নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না।

২. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

সিরাম অ্যাপ্লাই করার পর একটি লাইটওয়েট ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বকে একটা ইনস্ট্যান্ট হাইড্রেশন যোগ করে।

মনে রাখবেন ময়েশ্চারাইজার কিন্তু আপনার পোরসগুলিকে ছোট করতে সাহায্য করে না, বড় পোরস তৈরি হওয়ার কারণ হল তৈলাক্ত ত্বক।

তাই আপনি যদি আপনার ত্বকের তৈলাক্তভাব কমিয়ে পোরস তৈরি হওয়া রোধ করতে চান তাহলে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন।

৩. প্রাইমার লাগান

একটি পোর-মিনিমাইজিং প্রাইমার বেছে নিন, যা আপনার ত্বককে স্মুদ করবে এবং পোরসগুলিকে ছোট দেখাতে সাহায্য করবে।

একটি ম্যাটফিনিশ পোর-মিনিমাইজিং প্রাইমার ফোঁটা ফোঁটা করে মুখের ওপর নিয়ে পোরসের ওপর আলতো করে অ্যাপ্লাই করুন।

নাকের দুপাশ এবং গালের অংশের বড় পোরস দেখা যায়, যার জন্য এইসমস্ত জায়গায় ভালো করে অ্যাপ্লাই করুন।

৪. একটি ম্যাট ফাউন্ডেশন বেছে নিন

ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন আলো রিফ্লেক্ট করে না, যার ফলে পোরসগুলি সেই অর্থে চোখেও পড়ে না।

তাই এমন একটি ম্যাট ফাউন্ডেশন বাছুন যার মধ্যে একটা অয়েল-ফ্রি ফর্মুলা রয়েছে এবং যা প্রাকৃতিকভাবেই আপনাকে একটা ম্যাট ফিনিশ লুক দেবে।

৫. ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করুন

এবার একটি মেকআপ ব্লেন্ডারের সাহায্যে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করুন।

এক্ষেত্রে ব্রাশ কখনওই ব্যবহার করবেন না। ব্রাশ ব্যবহার করলে অনেকসময়ে পোরসগুলি আরও বড় দেখাতে পারে।

অন্যদিকে একটি ব্লেন্ডার কিন্তু আপনাকে একটা অসাধারণ কভারেজ দিয়ে থাকে।

৬. একটি নমনীয় কনসিলার ব্যবহার করুন

ত্বকে প্রাইমার এবং ফাউন্ডেশন ভালোভাবে অ্যাপ্লাই হয়ে যাওয়ার পর আপনার ম্যাট বেস মেকআপ তৈরি।

তবে আরও কিছু ত্রুটি চোখে পড়লে আপনারা কনসিলারের সাহায্যে সেগুলে লুকোতে পারেন।

এর জন্য চোখের তলার অংশে উল্টো ত্রিভূজের মতো করে কনসিলার অ্যাপ্লাই করুন।

পাশাপাশি এমন কনসিলার বাছুন যেটাতে আপনি একটা ফুল কভারেজ পাবেন।

৭. অ্যাপ্লাই করুন একটি ট্র্যান্সলুসেন্ট পাউডার

ফাউন্ডেশেন এবং আপনার সম্পূর্ণ মেকআপটিকে সারা দিন এবং রাতেও ধরে রাখার জন্য লুজ বা একটি ট্র্যান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার করুন।

একটি বড় সাইজের মেকআপ ব্রাশ দিয়ে এই লুজ় পাউডার আপনার সারা মুখে অ্যাপ্লাই করে ফাউন্ডেশনটা সেট করে নিন।

৮. ম্যাট ব্লাশ ব্যবহার করুন

শিমারি (চকচকে) ব্লাশ আপনার মুখের বড় পোরসগুলির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

কিন্তু চিন্তা নেই তা সত্ত্বেও আপনি কিন্তু ব্লাশ ব্যবহার করে সুন্দর দেখতে লাগতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি ম্যাট ব্লাশ ব্যবহার করতে হবে।

আপনার পছন্দসই একটি ম্যাট ব্লাশ গালের অংশে অ্যাপ্লাই করুন।

৯. ক্লাসিক লুক ট্রাই করুন

আপনি যদি একটা বোল্ড লিপ এবং তার সঙ্গে মানানসই ক্যাটআই মেকআপ ট্রাই করেন, তাহলে এই বোল্ড লুকে আপনার বড় পোরস কখনওই হাইলাইট হবে না।

এর জন্য একটা ডার্ক আইলাইনার দিয়ে ক্যাট আই লুক ক্রিয়েট করুন।

১০. এবার ঠোঁটসজ্জা

ঠোঁটদুটিকে আকর্ষণীয় করতে সবার প্রথমে লিপ লাইনার অ্যাপ্লাই করুন আর তারপর একটা পারফেক্ট পাউট লুক পেতে ডার্ক শেডের লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করুন।

১১. সবশেষে অ্যাপ্লাই করুন মেকআপ সেটিং স্প্রে

আপনার সম্পূর্ণ মেকআপটিকে ধরে রাখতে ব্যবহার করুন মেকআপ সেটিং স্প্রে।

এর জন্য চোখ বন্ধ করে আপনার মুখমন্ডলের ওপর ইংরেজি ‘T’ এবং ’X’-এর মতো করে সেটিং স্প্রে অ্যাপ্লাই করুন, এতে করে আপনার মেকআপ অনেকক্ষণ স্টে করবে।