ম্যাট লিপস্টিকের কতগুলো খুব ভালো দিক আছে।
এক নম্বর, তা একবার পরে ফেললে বেশ খানিকক্ষণ টিকে যায় স্বচ্ছন্দে।
গ্লসি লিপস্টিক জলদি ফিকে হয়।
কিন্তু ম্যাটের সে সমস্যা নেই।
কিন্তু ম্যাট লিপস্টিকেও ঝক্কি!
ঠোঁট তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
ঠোঁট এমনিতেই আর্দ্রতা হারায়।
যদি ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক পরেন-
তা হলে কিন্তু সমস্যা আছে।
কিন্তু করবেনই বা কী?
এ দেশে বছরের বেশিরভাগ সময়টাই গরম, তখন তো ম্যাট না পরে উপায়ও নেই!
তারপর লং স্টেইং লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক এখন বাজার কাঁপাচ্ছে।
তেমন কয়েকটি নিশ্চয়ই আপনারও সংগ্রহে রয়েছে।
সেসব তো আর বাতিলের খাতায় ফেলা যায় না!
কিন্তু শুকনো ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক লাগালে তা ফাটবেও দ্রুত।
এহেন পরিস্থিতি সামলানোর রাস্তাটা তা হলে কী?
চিন্তা করবেন না, ইচ্ছে থাকলেই উপায় একটা বের করে নেওয়া সম্ভব।
আপনার হাতের কাছেই এমন কয়েকটি উপাদান আছে!
যা আপনার ম্যাট লিপস্টিককেও কোমল করে তুলতে পারে।
তবে সেই প্রক্রিয়ার আগে নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন।
অফিসে বা বাইরে যাওয়ার সময় অনেকেই নিয়মিত লিপস্টিক লাগান।
তাঁরা ছুটি-ছাটার দিনগুলোয় অন্তত দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
গাঢ় লিপস্টিকের প্রভাবে কিন্তু ঠোঁটেও কালচে ছোপ পড়তে পারে।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
মধু, লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে বানিয়ে নিন ঘরোয়া স্ক্রাব।
তা আঙুলের আগায় নিয়ে চক্রাকারে মালিশ করুন ঠোঁটের উপর।
তারপর ধুয়ে নিয়ে লিপ বাম লাগিয়ে নিন।
রাতে শোওয়ার আগে আমন্ড অয়েল বা নারকেল তেল লাগাবেন অবশ্যই।
পরিষ্কার ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানো মাস্ট।
লাগানোর আগে অতি অবশ্যই ভালো কোনও লিপ বামের এক পরত লাগিয়ে নিন।
তারপর ঠোঁটের বাইরের দিক থেকে লিপ পেনসিল দিয়ে আউটলাইন আঁকুন, লিপস্টিক লাগান।
লিপ বামের প্রভাবে ঠোঁটের আর্দ্র ভাব বেশিক্ষণ বজায় থাকবে নিশ্চিতভাবেই।
যদি তখনও মনে হয় লিপস্টিক শুকিয়ে যাচ্ছে, তাহলে লিপ বামের এক পরত লাগিয়ে নিন।
চমৎকার গ্লসি এফেক্ট আসবে।
তবে হ্যাঁ, এই লিপস্টিক কিন্তু খাওয়াদাওয়ার পর থাকবে না।
বার বা টাচ আপ করতে হবে।